তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করালেন ইউএনও

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: March 9, 2024, 5:52 p.m.
তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করালেন ইউএনও

শেরপুরের নকলা উপজেলায় শফিউজ্জামান রানা নামে এক সাংবাদিককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ কারাদণ্ড দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শিহাবুল আরিফ।শাহরিয়ার জামান মাহিন বলেন, সেদিন বাবার সঙ্গে আমিও গিয়েছিলাম, আব্বু তথ্যের জন্য একটি কাগজ নিয়ে গিয়েছিলেন। কাগজ নিয়ে যাওয়ার পর অফিসের এক স্টাফকে আব্বু বলছিলেন কাগজে স্বাক্ষর করে দিতে। পরে ওই স্টাফ বলেন, ইউএনও স্যার মিটিংয়ে আছেন, আপনি একটু বসেন। পরে আব্বু বলেন, আমার জরুরি একটু শেরপুর যেতে হবে, আপনি একটু দেখেন। তারপর ওই স্টাফ বলেন কীসের যেন ফি লাগবে। আব্বু বলেন, কোনো নিয়মে তো এই ফি নেই। যদি লাগে তবে আমি দেবো।মাহিন জানান, এরপর আব্বু ফোন করে এটা কাকে যেন জিজ্ঞেস করছিলেন। তখন ইউএনও ম্যাডাম মিটিং ছেড়ে এসে বলেন, চোরকে এখানে কে ঢুকতে দিয়েছে, পুলিশ ডেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন। এসময় তিনি আমাকেও গালিগালাজ করেন। আমাকে তিনি বলেন, তোর বাপের মত তুইও চোর হতে যাচ্ছিস।পরে পুলিশকে ডেকে আনেন ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শিহাবুল আরিফকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদণ্ড দেওয়ার নির্দেশনা দেন। সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিনের দাবি, ইউএনও অফিসে ঢুকে গোপন তথ্যের ফাইল নেওয়ার জন্য টানাটানি করেন ওই সাংবাদিক। বাধা দিলে অফিসের এক নারী কর্মচারীর সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এ সময় এক মুক্তিযোদ্ধাকেও ধাক্কা দেন। পরে ওই সাংবাদিক বের হয়ে উচ্চস্বরে গালিগালাজ করতে থাকেন। রুম থেকে বের হয়ে দেখি অনেক লোকজন। এ সময় পুলিশও এসেছে। সহকারী কমিশনার ছিলেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন