প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: Aug. 7, 2024, 2:30 p.m.বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের পদত্যাগ এবং গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেছেন।
বিক্ষোভকারীরা গভর্নরকে দেশের ব্যাংকিং খাতে লুটের অন্যতম সহযোগী হিসেবে আখ্যায়িত করে নানা স্লোগান দেন। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান ভবনে মিছিল করে গভর্নর, চার ডেপুটি গভর্নর, উপদেষ্টা এবং আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের দাবি জানান। একপর্যায়ে, তারা গভর্নরের ফ্লোরে ঢুকে দুই ডেপুটি গভর্নরকে সাদা কাগজে সই করতে বাধ্য করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চার ডেপুটি গভর্নর এবং আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের দাবির মুখে পদত্যাগ করে ব্যাংক ছেড়ে চলে গেছেন। এ সময় সেনাসদস্যরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ঘটনার সময় অফিসে উপস্থিত ছিলেন না।
পদত্যাগকারী ডেপুটি গভর্নররা হলেন: কাজী সাইদুর রহমান, হাবিবুর রহমান, নুরুন্নাহার এবং মাসুদ বিশ্বাস। দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো ব্যানার ছাড়াই এই বিক্ষোভে অংশ নেন। তাঁদের দাবি, ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য এই শীর্ষ কর্মকর্তারা দায়ী এবং তাদের পদত্যাগ ছাড়া সুশাসন ফিরবে না।
বিক্ষোভকারীরা প্রথমে ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমানের কক্ষে ঢুকে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেন। কাজী সাইদুর রহমান একটি সাদা কাগজে পদত্যাগপত্র লিখে স্বাক্ষর করেন এবং ব্যাংক ছেড়ে যান। পরে, বিক্ষুব্ধরা ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহারের স্বাক্ষরও নেন।
বাকি দুই ডেপুটি গভর্নর মো. খুরশীদ আলম ও মো. হাবিবুর রহমান কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না এবং ফোনে জানান যে তাঁরা আর অফিসে আসবেন না। একইভাবে, ব্যাংকের উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাসের এবং বিএফআইইউ-এর মাসুদ বিশ্বাসও ব্যাংকে আসবেন না বলে ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন। আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।
বিক্ষোভকারীরা নির্বাহী পরিচালক-১ জাকির হোসেন চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week