কোটা আন্দোলনে সহিংসতার জন্য গুলি চালানোর কারণ জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: July 31, 2024, 2:35 a.m.
কোটা আন্দোলনে সহিংসতার জন্য গুলি চালানোর কারণ জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, চলমান কোটা আন্দোলনে সহিংসতার ফলে জীবন ও সম্পদ রক্ষার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, “কোটা আন্দোলন ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে ধ্বংসযজ্ঞ মোকাবিলা করেছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছিল যে সেনাবাহিনীকে নামাতে হয়। যেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল, সেখানে জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য গুলি করতে বাধ্য হতে হয়েছে। সব হিসাব ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা রাখছেন। যদি একটি গুলি বা একটি মৃত্যু অপ্রত্যাশিত হয়, তবে তদন্ত হবে, সেটা হবেই।”

তিনি আরও জানান, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছে, যা কয়েক দিনের মধ্যে কী ঘটেছিল সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেবে। তখন আমরা সারা বিশ্বকে জানাতে পারব কী ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি।”

দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, “বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে শনিবার (৩ আগস্ট) পর্যন্ত সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর, ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী এই চার জেলায় কারফিউ শিথিল করা হবে। বাকি জেলাগুলিতে স্থানীয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।”

তিনি সকলকে কারফিউ মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যত দ্রুত নিরাপত্তা বাহিনী স্বাভাবিক অবস্থা ঘোষণা করতে পারবে, তত দ্রুত আমরা দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারব।”

মন্ত্রী ছাত্রদের অহিংস আন্দোলন ও দাবির প্রতি সবসময় সহানুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “২০১৮ সালে যখন কোটা আন্দোলন ওঠে, আমরা তখন কয়েকটি ক্ষেত্রে কোটা বাতিল করে দিয়েছিলাম। আন্দোলনকারীরা তখন সানন্দে ফিরে গিয়েছিলেন।”

তিনি বলেন, “অনেকেই বলছেন আমরা গণগ্রেফতার করছি। আমরা কোনো গণগ্রেফতার করছি না। এমন কোনো জেলা নেই যেখানে তারা ধ্বংস না করলেও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করেনি। ধ্বংসগুলো আমরা সবাই দেখেছি। তারা আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংস করেছে এবং প্রাণহানি ঘটিয়েছে। আমরা কোনো নিরপরাধ মানুষকে গ্রেফতার করছি না। প্রমাণ ও সাক্ষ্য দিয়ে যাদের শনাক্ত করেছি, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।”


আরও পড়ুন