বিশ্বকাপের মাঝেই অবসর ঘোষণা ইংলিশ পেসারের

বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ সময় কাটাচ্ছে ইংল্যান্ড। দৃশ্যত সেমিফাইনালে ওঠা হচ্ছে না বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ৬ ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে জস বাটলারের দল। আগামী ১১ নভেম্বর ইডেন গার্ডেন্সে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে তারা। আর এই ম্যাচের পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন ইংল্যান্ডের বোলিং অলরাউন্ডার ডেভিড উইলি।

৩৩ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ২০২৩-২৪ চক্রে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই। অবসরের ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে উইলি লিখেন, ‘কখনো এই দিনটির দেখা পেতে চাইনি। সেই শৈশব থেকে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু অনেক সতর্কতার সঙ্গে চিন্তাভাবনা করে অনুশোচনার সঙ্গে বুঝলাম, আমার জন্য সেই সময়টা চলে এসেছে। বিশ্বকাপ শেষেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেব।’

উইলি আরও লিখেন, ‘খুব গর্ব নিয়ে আমি (ইংল্যান্ডের) জার্সিটি পরেছি এবং নিজের সবটুকু নিংড়ে দিয়েছি। সাদা বলের সংস্করণে দারুণ একটি দলের অংশ হতে পারায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি, যেখানে বিশ্বের সেরা কিছু খেলোয়াড় আছেন। কঠিন সময়ের পাশাপাশি বিশেষ কিছু স্মৃতি এবং বন্ধুও জুটেছে এ সময়ে। আমার স্ত্রী-সন্তান, বাবা ও মাকে বলছি, তোমরা ত্যাগ স্বীকার না করলে, সমর্থন না দিলে আমি নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারতাম না। বিশেষ কিছু স্মৃতির জন্য ধন্যবাদ...আমি চিরকৃতজ্ঞ।’

ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে ৬ ম্যাচে ১ জয় ও ৫ হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ টেবিলের তলানিতে ইংল্যান্ড। বাকি তিন ম্যাচে ইংলিশদের প্রতিপক্ষ—অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস ও পাকিস্তান।

শেষ তিন ম্যাচ নিয়ে উইলি লিখেন, ‘আমার মনে হয়, মাঠ ও মাঠের বাইরে আমার এখনো অনেক কিছুই দেওয়ার আছে। নিজের সেরা ক্রিকেটটাই খেলছি। আর আমার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিশ্বকাপে আমাদের পারফরম্যান্সের কোনো সম্পর্ক নেই।’

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৩ ম্যাচ খেলে মোট ৫ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি লোয়ার অর্ডারে ৪২ রানও করেছেন উইলি।

তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিলেও ইংল্যান্ডের ঘরোয়া এবং বিশ্বের আনাচকানাচে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেট খেলে যাবেন উইলি।

এর আগে ২০১৫ সালের মে মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় উইলির। ইংল্যান্ডের হয়ে এখন পর্যন্ত ৭০ ওয়ানডেতে ৯৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৫১ উইকেট নিয়েছেন ৪৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। ২টি ফিফটিসহ ৬২৭ রান করেছেন ওয়ানডেতে। টি-টোয়েন্টিতে ১৩০.৬৩ স্ট্রাইক রেটে তাঁর রানসংখ্যা ২২৬।