প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: May 18, 2024, 10:26 p.m.অর্থনীতির বর্তমান সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মূল্যস্ফীতি। গত কয়েক মাস ধরেই এটি দুই অঙ্কের কাছাকাছি রয়েছে। নানা উদ্যোগের পরও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আরও কিছুটা বেড়ে ১০.২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর মানে হলো, খাদ্য পণ্যের দাম আরও বেড়েছে। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য বেশিরভাগ নিত্য পণ্য এখন নাগালের বাইরে। ফলে তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
অর্থনীতি সমিতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের একটি সেমিনারে অর্থনীতিবিদরা মূল্যস্ফীতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, নিম্ন আয়ের অনেকেই মূল্যস্ফীতির চাপে শহর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।
অর্থনীতিবিদ ড. আজিজুর রহমান বলেছেন, নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা তাদের খরচ কমিয়ে দিয়েছে। উচ্চ মধ্যবিত্তরা সঞ্চয় করতে পারছেন না। বরং পূর্বে সঞ্চয় করা টাকা দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে তারা।
সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা শফিকুর রহমান মনে করেন, কেবল চাহিদা ব্যবস্থাপনা করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এক্ষেত্রে যোগানের দিকটিও বিবেচনা করতে হবে।
অর্থনীতিবিদ নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেছেন, আমদানি খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় পণ্যের উৎপাদন খরচও বেড়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিআইবিএম’র সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশ্বব্যাপী কিছু নির্ধারিত নীতি রয়েছে। তবে দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় নীতির কিছুটা পরিবর্তন করা যায়। কিন্তু ‘আউট অব দ্য বক্স’ কোনো নীতি গ্রহণ করা উচিৎ নয়।
অর্থনীতিবিদদের মতে, শুধুমাত্র চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করে মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সরবরাহ বাড়ানোর দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। একই সাথে মুদ্রানীতির সাথে আর্থিক নীতির সমন্বয় জরুরি বলেও মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week