প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: Aug. 1, 2024, 6:24 p.m.আগস্ট মাসটি বাঙালি জাতির জন্য গভীর শোক ও শ্রদ্ধার মাস হিসেবে চিহ্নিত। এই মাসের শুরুতে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়, যিনি বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহান নেতা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের অভ্যুদয়ের মূল শক্তি ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, মানবতার শত্রু একটি প্রতিক্রিয়াশীল হত্যাকারী দলের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে নিহত হন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তাঁর হত্যাকাণ্ড একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল, যা স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠীর দ্বারা সংগঠিত হয়েছিল। হামলায় বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, পুত্র শেখ আবু নাসের ও ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, পুত্রবধূ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং ছোট পুত্র শেখ রাসেল নিহত হন।
এই হত্যার পর, সরকার এই হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে কঠোর ক্ষতিপূরণ আইন জারি করে, যার ফলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে বাঙালি জাতি দীর্ঘ ২১ বছর ধরে ন্যায়বিচারহীনতার শিকার হয়।
শোকের এই মাসে, ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত হন। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আগস্ট মাসকে যথাযথ মর্যাদা ও শোকের পরিবেশে পালন করবে। এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
১ আগস্ট: সকাল ১০টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবী রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। সকাল ৭টায় যুব মহিলা লীগ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। একই দিন সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শোকসভা করবে জাতীয় শ্রমিক লীগ।
১ থেকে ৩১ আগস্ট: মাসব্যাপী কোরআন খতম, ১৫ আগস্ট শহীদদের স্মরণে নামায পড়া এবং অসহায় ও দুর্দশাগ্রস্তদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে। আওয়ামী লীগ ফজরের পর বনানী কবরস্থানে এক মাসব্যাপী কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে।
২ আগস্ট: কৃষক লীগ স্বেচ্ছাসেবী রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা, অভাবীদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ, বৃক্ষরোপণ এবং সারা দেশের সব জেলা, মহকুমা ও ইউনিয়নে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে।
৩ আগস্ট: মৎস্যজীবী লীগ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করবে।
৪ আগস্ট: আওয়ামী যুবলীগ সারা দেশে যুব সমাবেশ/মানববন্ধন এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। বিভাগীয় কমিশনারদের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবে।
৫ আগস্ট: শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে সকাল ৮টায় আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে রাত ১১টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা হবে। এছাড়া শহীদ শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মৎস্যজীবী লীগের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ রাত ১১টায় আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করবে।
৭ আগস্ট: যুবলীগ যুব সমাবেশ/মানববন্ধন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথে স্মারকলিপি প্রদান করবে।
৮ আগস্ট: বঙ্গবন্ধু শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো বনানী কবরস্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে। আওয়ামী যুবলীগ 'বঙ্গমাতা নিভৃতি উৎসর্গীকৃত মহাজীবন' শীর্ষক আলোচনা সভা করবে এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ করবে। বঙ্গমাতা শহীদ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও মৎস্যজীবী লীগ একটি সভা করবে।
৯ আগস্ট: জাতীয় শ্রমিক লীগ রাত ১১টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবে।
১০ আগস্ট: জাতীয় শোক দিবসে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহিলা শ্রমিক লীগ আলোচনা সভার আয়োজন করবে এবং বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে সকাল ১০টায় মহিলা আওয়ামী লীগ আলোচনা সভা করবে।
এই মাসব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও শোক নিবেদন করবে, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করবে এবং জাতির উন্নয়ন ও সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রেরণা যুগিয়ে যাবে।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week