স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: July 10, 2024, 9 p.m.
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও ডা. সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছে। মামলায় সাবরিনার স্বামী ও জেকেজি হেলথকেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফুল চৌধুরীসহ মোট সাতজন আসামি রয়েছেন।

আসামিরা হলেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ডা. সাবরিনা শারমিন (সাবরিনা চৌধুরী নামেও পরিচিত), আরিফুল চৌধুরী, আ স ম সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ওরফে হিমু, তানজিনা পাটোয়ারী, এবং জেকেজি হেলথকেয়ারের মালিক জেবুন্নেসা রিমা। তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, জালিয়াতি এবং প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগের সারসংক্ষেপে বলা হয়, আসামিরা কর্মরত থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতি ও প্রতারণার উদ্দেশ্যে আনুমানিক ১৫,৪৬০টি ভুয়া ও জাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে। করোনা মহামারির সময় এই রিপোর্টগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সরবরাহ করে, যা জনসাধারণের সাথে প্রতারণা এবং জীবন বিপন্নকারী রোগের সংক্রমণ ছড়ানোর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

অভিযোগীরা এই প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে। মামলাটি ২০২৪ সালের ১০ জুলাই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দায়ের করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন এই অপরাধ করায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।

২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন সময়ে মাত্র ৩ মাসে ওভাল গ্রুপ ও এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ভেলবিল সিকিউরিটি সার্ভিসের প্রাইভেট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ১৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা জমা হয়, যা করোনা টেস্টের টাকা বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া, তদন্তে দেখা গেছে যে, তারা কেবলমাত্র ভুয়া রিপোর্টই দেয়নি, বরং এই রিপোর্টগুলোর ভিত্তিতে অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হয়েছে এবং করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে। দুর্নীতির এই ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং নৈতিকতার প্রশ্ন তুলেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।


আরও পড়ুন