শেরপুর জেলা কারাগারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: Aug. 6, 2024, 3:37 a.m.
শেরপুর জেলা কারাগারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট

শেরপুর জেলা কারাগারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে, এবং এতে করে কারাগারে আটক সব বন্দি পালিয়ে গেছে। এই ঘটনা সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটে।

 

এর আগে রবিবার বিকেলে প্রশাসনের গাড়িচাপা ও গুলিতে পাঁচজন নিহত হওয়ার পর শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা আনসার অফিস, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেয় এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। সোমবার সকাল থেকে আন্দোলনকারীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্থাপনায় আক্রমণ চালাতে থাকে।

 

শহরের উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে হামলার লক্ষ্যস্থল ছিল শেরপুর সদর থানা, জেলা প্রশাসকের ম্যাজিস্ট্রেটের ডরমেটরি, শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, আওয়ামী লীগ অফিস এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি। এসব স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর পাওয়ার পর শহরে আনন্দ মিছিল শুরু হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা কারাগারে হামলা চালানো হয়। দুর্বৃত্তরা কারাগারের প্রধান গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে, কারাগারের অফিসসহ অন্যান্য স্থানে লুটপাট চালায় এবং মূল গেট ভেঙে বন্দিদের পালিয়ে যাওয়ার পথ খুলে দেয়। এ সময় কারাগারে আটক ৫২৭ জন বন্দি পালিয়ে যায়।

 

এই হামলার পর শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল্লাহ আল খায়রুম জানিয়েছেন, কারাগারে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং এ সময় সব বন্দি পালিয়ে গেছে। এছাড়া, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন