তিতাসের পূর্ব পাড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস এবং উপশহর-গণপূর্তমন্ত্রী

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: June 15, 2024, 8:47 p.m.
তিতাসের পূর্ব পাড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস এবং উপশহর-গণপূর্তমন্ত্রী

তিতাসের পূর্ব পাড়ে প্রস্তাবিত উপশহরের জায়গা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের জমি পরিদর্শন করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। শনিবার (১৫ জুন) বিকেলে সিমলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া শেখ হাসিনা সড়কের পাশে প্রস্তাবিত নতুন নগরায়নের জায়গা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের জমি পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এ সময় তিনি জমির কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

মন্ত্রী বলেন, "পরিকল্পিতভাবে তিতাসের পূর্ব পাড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও নগরায়ন করা হবে। কাজগুলো যেন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে এলাকাবাসীর জীবনমান উন্নত হবে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।"

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ এইচ মাহবুবুল আলম, ঠিকাদার হারুনুর রশিদ হীরু এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরা মন্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করার অঙ্গীকার করেন।

এছাড়া, মন্ত্রী বলেন, "ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস ও নগরায়ন প্রকল্পটি দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এতে শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক শিক্ষার সুযোগ এবং নাগরিকদের জন্য উন্নত বাসস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।" মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আধুনিক গবেষণা ল্যাব, লাইব্রেরি, এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকবে যা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণার মান বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।"

এ সময় স্থানীয় জনগণ মন্ত্রীর সাথে তাদের বিভিন্ন সমস্যা এবং প্রয়োজনের কথা তুলে ধরেন। মন্ত্রী আশ্বাস দেন যে, সকল সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য তিনি নিজে তদারকি করবেন। এছাড়া, তিনি স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রস্তাবিত উপশহরে থাকবে সকল আধুনিক নাগরিক সুবিধা, যেমন হাসপাতাল, স্কুল, শপিং মল, পার্ক এবং অন্যান্য বিনোদনমূলক স্থাপনা। এ উদ্যোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী আরও জানান, "নতুন এই নগরায়নের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে এবং এটি একটি মডেল শহর হিসেবে গড়ে উঠবে।" তিনি বলেন, "শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং বিনোদনের জন্য সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আসা হবে, যা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।"

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, "প্রতিটি কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে এবং সময়মতো প্রকল্পগুলি সম্পন্ন করতে হবে। আমরা চাই এই অঞ্চলের মানুষ দ্রুততম সময়ের মধ্যে উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে।"


আরও পড়ুন