বিএনপি-জামায়াতের বৃক্ষনিধন ও কৃষিবিরোধী নীতির সমালোচনা

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: June 15, 2024, 11:51 a.m.
বিএনপি-জামায়াতের বৃক্ষনিধন ও কৃষিবিরোধী নীতির সমালোচনা

শনিবার (১৫ জুন) সকালে গণভবনে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখেন। তিনি তার বক্তব্যে বিএনপি-জামায়াতের বৃক্ষনিধন ও কৃষিবিরোধী নীতির কড়া সমালোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত শুধু ক্ষমতায় থাকাকালীনই নয়, আন্দোলনের নামেও বৃক্ষনিধন করেছে, যা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করেছে।

জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনা শুরু হওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে ঘোড়ার দৌড় বন্ধ করে নারকেল গাছ লাগিয়েছিলেন, যা আজো একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা শুনে হাসি পায়, কারণ তারা নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছে এবং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে। জিয়া-এরশাদ সবাই একই কাজ করেছেন এবং কৃষকশ্রেণিকে অবহেলা করেছেন। খালেদা জিয়ার আমলে সার চাওয়ার অপরাধে কৃষকের ওপর গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটেছে, যা খুবই দুঃখজনক। জনগণের ভোট চুরি করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারে না, এটাই হলো বাস্তবতা, এবং খালেদা জিয়াকেও ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হতে হয়েছিল এই অপরাধে।

কৃষি নীতির সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি সরকার বিদেশ থেকে বীজ আমদানি করতো, কারণ তাদের কয়েকজনের এ নিয়ে ব্যবসা ছিল। ১৯৯৬ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণে বাধা দেয়া আন্তর্জাতিক সংস্থা তাকে প্রস্তাব দিয়েছিল যাতে কৃষিতে ভর্তুকি বন্ধ করে দেন, কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন দেশের টাকাতেই তিনি কৃষকদের ভর্তুকি দেবেন। আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে বনজ-ভেষজ-ফলজ গাছ লাগাতে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে এবং কৃষকদের ভর্তুকি ডিজিটাল ব্যবস্থায় দেওয়া হচ্ছে, যাতে সঠিকভাবে তারা এর সুবিধা পেতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যের শেষাংশে বলেন, দেশের উন্নয়ন ও পরিবেশ রক্ষায় আওয়ামী লীগ সবসময় কাজ করে যাচ্ছে এবং জনগণের জন্য কাজ করাই তাদের মূল লক্ষ্য।


আরও পড়ুন