জাতিসংঘ বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য পাঁচটি কৌশলগত অগ্রাধিকার নির্ধারণ করেছে। এই কৌশলগুলো হলো:
১) অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন:
- দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
- টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা।
২) ন্যায়সঙ্গত মানব উন্নয়ন ও সুস্থতা:
- সকলের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
- শিশুমৃত্যু হার কমানো, মাতৃস্বাস্থ্য উন্নত করা এবং পুষ্টি উন্নত করা।
৩) টেকসই, স্বাস্থ্যকর ও স্থিতিস্থাপক পরিবেশ:
- জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং পরিবেশগত অবক্ষয় রোধ করা।
- নবায়নযোগ্য ऊर्जा ব্যবহার বৃদ্ধি করা এবং প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা।
৪) রূপান্তরমূলক, অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন:
- আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা, মানবাধিকার রক্ষা করা এবং সকলের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
- সুশাসন প্রচার করা এবং দুর্নীতি দূর করা।
৫) লিঙ্গ সমতা ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দূর করা:
- নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন করা এবং তাদের সমাজে সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
- লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা রোধ করা এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তা প্রদান করা।
জাতিসংঘের অবদান
- ২০২৩ সালে, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচিতে (UNDP) বাংলাদেশকে ২১ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদান করেছে।
- এই সহায়তার মাধ্যমে, ২৮ মিলিয়ন মানুষ আর্থিক পরিষেবায় ডিজিটাল অ্যাক্সেস পেয়েছে, ২.৫ লাখ প্রান্তিক শিশু প্রতিকারমূলক শিক্ষা পেয়েছে এবং ২.৬৮ লাখ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে।
- জাতিসংঘ-সমর্থিত গ্রাম আদালতের মাধ্যমে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার ২.৬৭ লাখ মানুষের জীবন টিকিয়ে রাখা হয়েছে।