এনবিআর-এর সাবেক প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ তদন্ত

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: June 23, 2024, 6:34 p.m.
এনবিআর-এর সাবেক প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ তদন্ত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য অনুসন্ধানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে। রোববার (২৩ জুন) দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুদকের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এই টিম গঠন করা হয়েছে। গত ৪ জুন মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা হওয়ার পর কমিশনের পক্ষ থেকে অনুসন্ধান শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দুদক সচিব আজ দুপুরে দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, "এনবিআরের সদস্য ড. মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে গত ৪ জুন কমিশন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ইতোমধ্যে একজন উপপরিচালককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। টিমের সদস্যরা কাজও শুরু করেছেন।"

গত দুই যুগে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে চারবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তিনি প্রতিবারই দুদক থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন। তবে সাম্প্রতিক অভিযোগগুলি আরও গুরুতর বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্প্রতি, মতিউর রহমানের ছেলে ইফাত মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল এবং ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে খবর আসে। এছাড়া, মতিউর রহমানের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

মতিউর রহমানের এসব সম্পত্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবনযাপনের ধরন নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এইসব তথ্য প্রকাশের পরই দুদকের অনুসন্ধান শুরু করার সিদ্ধান্ত আসে।

দুদকের এই তদন্তে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। দুর্নীতি দমন কমিশন এ ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে এবং তাদের সম্পত্তির উৎস খতিয়ে দেখতে পারে। যদি দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হতে পারে এবং তার সম্পত্তি জব্দ করা হতে পারে।

এই তদন্ত প্রক্রিয়া চলাকালে মতিউর রহমানের এবং তার পরিবারের সকল সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাবের বিস্তারিত তদন্ত করা হবে। দুদক এই বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে এবং জনগণকে সঠিক তথ্য সরবরাহ করতে বদ্ধপরিকর।


আরও পড়ুন