প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: July 12, 2024, 2:35 a.m.মৃত ব্যক্তির স্মরণে এবং তাদের আত্মার জন্য দোয়া করার উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে কুলখানি ও চল্লিশা দুটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান।
কুলখানি ও চল্লিশা কি?
কুলখানি:সাধারণত মৃত্যুর তৃতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মৃত ব্যক্তির স্মরণে আলোচনা, দোয়া ও খাবার বিতরণ করা হয়।
চল্লিশা: অনুষ্ঠিত হয় মৃত্যুর চল্লিশতম দিনে, যা অনেকটা কুলখানির মতোই।
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে দোয়া ও সওয়াব পৌঁছে দেওয়ার গুরুত্ব
ইসলামে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা ও সওয়াব পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা একটি উৎসাহিত আমল। হাদিসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।" (আবু দাউদ: ৪৯০০)
তবে, নির্দিষ্ট দিন (যেমন: ৩য় দিন, ৪০তম দিন) নির্ধারণ করে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা ইসলামে সমর্থিত নয়। হজরত জারির ইবনে আবদুল্লাহ আলবাজালী (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে, "আমরা (সাহাবারা) দাফনের পর মৃতকে কেন্দ্র করে সমবেত হওয়া ও খাবারের আয়োজন করাকে ‘বিলাপ’ বলে গণ্য করতাম।" (মুসনাদে আহমদ: ২/২০৪; ইবনে মাজাহ: ১৬১২
কুলখানি ও চল্লিশা অনুষ্ঠানের বৈধতা নির্ভর করে অনুষ্ঠানের আকার, উদ্দেশ্য এবং পদ্ধতির উপর। যদি অনুষ্ঠানটি সরল, খরচ কম হয় এবং এর উদ্দেশ্য হয় মৃত ব্যক্তিকে স্মরণ করা, তাদের জন্য দোয়া করা ও তাদের আত্মার জন্য সওয়াব পৌঁছে দেওয়া, তাহলে তা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ।
কিন্তু যদি অনুষ্ঠানটি আড়ম্বরপূর্ণ হয়, অপ্রয়োজনীয় খরচ হয় এবং এর উদ্দেশ্য হয় সামাজিক প্রদর্শন করা, তাহলে তা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে আপত্তিকর।
মৃত ব্যক্তির জন্য সওয়াব পৌঁছে দেওয়ার আরও অনেক বৈধ উপায় রয়েছে যেমন: দান করা, নফল ইবাদত করা, হজ্ব করা, মৃতের পক্ষ থেকে ঈদুল আযহার কোরবানি করা ইত্যাদি।
কুলখানি ও চল্লিশা অনুষ্ঠান মূলত একটি সামাজিক রীতিনীতি। ইসলামে এর কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে, অনুষ্ঠানটি যদি সরল, খরচ কম হয় এবং এর উদ্দেশ্য হয় মৃত ব্যক্তিকে স্মরণ করা, তাদের জন্য দোয়া করা ও তাদের আত্মার জন্য সওয়াব পৌঁছে দেওয়া, তাহলে তা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week