প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: July 28, 2024, 1:03 a.m.ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ১৮ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা ও গাজীপুরের ধ্বংসাত্মক সাইটগুলিতে ৫০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ সিম কার্ড প্রবেশ করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত জনগণের আন্দোলন ছিল নাশকতার স্থানের দিকে। বাইরে থেকে প্রায় ১ লক্ষ সিম ওই জায়গাগুলিতে প্রবেশ করে।
আজ শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ডাকভবনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেশজুড়ে এক লাখ চারা রোপণের জন্য আয়োজিত 'ট্রি ফর পিস' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন। পলক বলেন, ১৮, ১৯ এবং ২০ জুলাই বিভিন্ন জেলায় কোনও হিংসা হয়নি যেখানে 'রেড অ্যালার্ট' জারি করা হয়েছিল। ঢাকার ১০ থেকে ১৫টি স্থানে অতিরিক্ত ৫০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ নতুন সিম কার্ড ব্যবহারকারীর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, রেড অ্যালার্ট এলাকায় চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীরা ঢাকা, ছাত্রদল, জামায়াতে শিবিরের ছিল এবং তারা ঢাকায় অবস্থান নিয়েছে। তাঁদের অবস্থানকালেই ১৮ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়।
পলক বলেন, "সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করেনি। ঢাকা বিভাগের ১৭টি জায়গায় হামলা হয়েছে। তিনটি ডেটা সেন্টারে মহাখালীর ১৮টি আইআইজি ব্যবস্থা রয়েছে। ৭০% ISP এর সার্ভার আছে। তাই ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা থেমে যাইনি।"
বিটিআরসি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, "টেলিকম খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কিছু ক্যাশ সার্ভার এখনও মেরামতের কাজ চলছে। হয়তো দুই-চার দিনের মধ্যে টেলিযোগাযোগ পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হয়ে যাবে। দেশের ৪,০০০ ক্যাশ সার্ভার ঠিক করতে সময় লাগবে। সমস্ত গুগল ক্যাশে সার্ভারগুলি তাদের আসল অবস্থায় পুনরুদ্ধার করা হবে।"
সভায় সভাপতিত্ব করেন ডাক বিভাগের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার। আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব শামসুল আরেফিন মুশফিকর রহমান এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান সহিংসতা ও নাশকতার মধ্যে ঢাকায় ব্যাপক সংখ্যক নতুন সিম কার্ড প্রবেশ করেছে। সরকারের দাবি অনুযায়ী, এই সিম কার্ডগুলি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়াও, ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবা পুনরুদ্ধার করার জন্য দ্রুত কাজ চলছে।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week