মুম্বাইয়ের তাজ হোটেল-নতুন হুমকি পুরনো ভয়াবহ স্মৃতি জাগিয়ে তুলেছে

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: May 28, 2024, 1:17 a.m.
মুম্বাইয়ের তাজ হোটেল-নতুন হুমকি পুরনো ভয়াবহ স্মৃতি জাগিয়ে তুলেছে

ভারতের মুম্বাই বিমানবন্দর ও প্রসিদ্ধ তাজ হোটেলে আবারও বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) হামলার হুমকি সংবলিত ফোনকল পায় মুম্বাই পুলিশ। এরপরই দ্রুতই তল্লাশি শুরু হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো বোমা পাওয়া যায়নি।মুম্বাই বিমানবন্দর ও তাজ হোটেলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়ার পর, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার ভয়াবহ স্মৃতি আবারও জাগিয়ে তুলেছে।

২০০৮ সালের সেই হামলা ছিল মুম্বাই শহরের জন্য এক দুঃস্বপ্নের রাত, যখন ১০ জন পাকিস্তানি জঙ্গি সমন্বিতভাবে ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, ওবেরয় ট্রাইডেন্ট, তাজ হোটেল, লিওপোল্ড ক্যাফে, কামা হাসপাতাল, নরিম্যান হাউস, ইহুদি কমিউনিটি সেন্টার, মেট্রো অ্যাডল্যাবস, টাইমস অফ ইন্ডিয়া ভবন, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, মাজাগাও, ভিলে পার্ল সহ বিভিন্ন স্থানে আক্রমণ চালায়। এই হামলায় ১৬৬ জন নিহত এবং ৩০৮ জন আহত হন।

হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল হাফিজ সাইদ, যিনি এখনও পাকিস্তানে বসবাস করছেন। মুম্বাই শহরে এই হামলার ফলে ব্যাপক আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়। আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানে নতুন জোরালোতা আসে।

মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল তাজ হোটেলে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করা। ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) অভিযান চালায় এবং ৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করে। হোটেলের কর্মী মেজর সন্দীপ উন্নীকৃষ্ণান এই অভিযানে শহীদ হন। ২৯ নভেম্বর সকালের মধ্যে এনএসজি 'জিম্মি'দের উদ্ধার করে। হামলার ১৬ বছর পরও, হাফিজ সাইদ সহ মাস্টারমাইন্ডরা এখনও জীবিত এবং ভারত তাদের বিচারের জন্য পাকিস্তানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানিয়েছে।

তাজ হোটেল পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে এবং আবারও পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলা ছিল একটি ভয়াবহ ঘটনা যা ভারত ও বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এই হামলার শিকারদের স্মরণ করা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তাজ হোটেলের বর্তমান হুমকি সেই পুরনো ভয়াবহ স্মৃতি মনে করিয়ে দেয় এবং নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব আবারও স্পষ্ট করে।


আরও পড়ুন