ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ড: চুরির কারণ প্রায় চার বছর পর উন্মোচিত রহস্য

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: May 25, 2024, 8:12 p.m.
ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ড: চুরির কারণ প্রায় চার বছর পর উন্মোচিত রহস্য

চার বছরেরও বেশি সময় পর অবশেষে উন্মোচিত হলো যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে নিজ অ্যাপার্টমেন্টে খুন হওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ডের রহস্য। ২০২০ সালের ১৩ জুলাই ঘটে যাওয়া এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় তার ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস হ্যাসপিলকে গ্রেফতার করা হয় এবং বিচার শুরু হয়।

হ্যাসপিলের আইনজীবীরা দাবি করেছেন, ফাহিম সালেহর হাজার হাজার ডলার চুরি করেছিলেন হ্যাসপিল। আর সেই চুরির ঘটনা লুকাতেই ফাহিমকে শিরোশ্ছেদ করে হত্যা করেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন মতে, ফাহিমকে হত্যার কয়েক দিন আগেই চুরি করা অর্থ ব্যবহার করে নিজের ফরাসি বান্ধবী মেরিন চাভিউজকে উপহার দিয়েছিলেন হ্যাসপিল।

সরকারি আইনজীবীরা ফাহিম হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত আদালতে উপস্থাপন করেছেন। তাদের দাবি, ফাহিমকে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনামাফিক খুন করেন হ্যাসপিল। তিনি প্রথমে মুখোশ পরে টেজার গান (এক ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্র) ব্যবহার করে ফাহিমকে অজ্ঞান করেন। সেই টেজার গানের সূত্র ধরে হ্যাসপিলকে শনাক্ত করার কথা জানায় পুলিশ। হত্যার পর ফাহিমের শরীর খণ্ডবিখণ্ড করতে ইলেকট্রিক করাতসহ পরিচ্ছন্নতাসামগ্রী কিনেছিলেন হ্যাসপিল। এসব সামগ্রী কেনার ভিডিও ফুটেজও পাওয়া গেছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, হ্যাসপিলের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত খুন ছাড়াও অর্থসম্পদ লুট, চুরি, লাশ গুমের চেষ্টা ও আলামত নষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে হ্যাসপিলের মানসিক কষ্ট ও যন্ত্রণাকাতর ছোটবেলার কথা তুলে ধরেন আইনজীবীরা। দোষী সাব্যস্ত হলে হ্যাসপিলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। অবশ্য তার আইনজীবীদের আশা, কথিত মানসিক অবস্থা বিবেচনায় সাজা লঘু হতে পারে।

উল্লেখ্য, ফাহিম সালেহ ছিলেন বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

 
 
 
 

আরও পড়ুন