টাঙ্গাইলে শীতে দুই শিশুর মৃত্যু

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: Jan. 23, 2024, 5:25 p.m.
টাঙ্গাইলে শীতে দুই শিশুর মৃত্যু

কনকনে শীতে এরই মধ্যে পাঁচ মাস বয়সী দুই যমজ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে ডায়রিয়া-নিউমোনিয়া সহ ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা দির দিন বাড়ছে। দিনভর শীতের তীব্রতা থাকায় জনজীবন এক প্রকার স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম সাধারণ ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।শীতার্ত মানুষ দিন-রাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। বিকাল থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে পরদিন সকাল পর্যন্ত একইধারা অব্যাহত থাকছে। শীতের কারণে ছিন্নমূল ও দিনমজুররা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। সাধারণ মানুষ প্রায় প্রতিদিন ঘন কুয়াশা, তীব্র শীত ও হিমশীতল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের প্রকটতায় শহরের ব্যস্ততম সড়ক ও গ্রামের হাটবাজারগুলো অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে। ভোরে ঘনকুয়াশা থাকায় বিভিন্ন সড়কমহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এদিকে শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া-নিউনোনিয়া সহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে । এতে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।অপরদিকে, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঠান্ডাজনিত রোগে শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে কানাই বাদ্যকর ও বলাই বাদ্যকর নামে পাঁচ মাস বয়সী দুই যমজ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ওই শিশুরা উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর বাদ্যকরপাড়া গ্রামের উপেন্দ্র বাদ্যকর ও মনিকা বাদ্যকর দম্পতির সন্তান। পারিবারিক সূত্র জানায়, এক সপ্তাহ আগে ওই যমজ দুই শিশু ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। গত কয়েক দিনের ঠান্ডার প্রকোপ বাড়ায় শিশু দুটি দুর্বল হয়ে পড়ে।শনিবার সকালে অবস্থার অবনতিহলে কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, শীত বাড়ায় মানুষ ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে শিশুই বেশি। শিশু-বয়স্কদের প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। শৈত্যপ্রবাহ চলাকালে এসব রোগ থেকে রেহাই পেতে গরম কাপড় ব্যবহার, যতটা সম্ভব ঠান্ডা এরিয়ে চলা জরুরি। শিশুদের ঠান্ডা ও ধুলোবালু থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে। শিশুদের ঘরে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।


আরও পড়ুন