প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: May 27, 2024, 3:50 p.m.ধারাবাহিক পতনের পর অবশেষে শেয়ারবাজারে কিছুটা প্রাণ ফিরেছে। গত ৯ কার্যদিবসের নিম্নমুখী ধারার পর সোমবার (২৭ মে) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই ও সিএসই) সূচক এবং লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ডিএসইএক্স সূচক ৫৯.৬৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫,৩১০.৫১ পয়েন্টে, ডিএস-৩০ সূচক ১১.৯৩ পয়েন্ট বেড়ে ১,৯০০.৬৫ পয়েন্টে, এবং ডিএসইএস সূচক ১৩.৭০ পয়েন্ট বেড়ে ১,১৬০.১৮ পয়েন্টে পৌঁছেছে। লেনদেনের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়ে ৫০৬ কোটি ১১ লাখ টাকা হয়েছে, যা গতকালের ৩২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এছাড়াও ২৭৬টি কোম্পানির শেয়ার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, ৮৪টি কমেছে এবং ৩৪টি অপরিবর্তিত ছিল। শীর্ষ লেনদেনকারী কোম্পানিগুলোর মধ্যে ছিল ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, ওরিয়ন ফার্মা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ প্রভৃতি।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকগুলোতে বৃদ্ধি দেখা গেছে। সিএএসপিআই সূচক ৭৯.৭৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৫,৩১২.৭২ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ৫০.৫৮ পয়েন্ট বেড়ে ৯,২১৩.৫৩ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ১০.৫১ পয়েন্ট বেড়ে ১,১৯২.৭৩ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ৮.৬৮ পয়েন্ট বেড়ে ১,০০২.৪৬ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ১০৮.১৪ পয়েন্ট বেড়ে ১১,৮০৪.৫১ পয়েন্টে পৌঁছেছে। লেনদেনের পরিমাণও বেড়ে ৭৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা হয়েছে, যা গতকালের ৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা থেকে অনেক বেশি।
এখানে ৯৪টি কোম্পানির শেয়ার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, ১২২টি কমেছে এবং ২০টি অপরিবর্তিত ছিল। শীর্ষ লেনদেনকারী কোম্পানির মধ্যে ছিল ইষ্টার্ন ব্যাংক, বিএটিবিসি, এবং জিএসপি ফাইন্যান্স।
তবে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই প্রাণ ফিরে আসা স্থায়ী হবে কিনা তা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চয়তা, স্থানীয় বাজারে নগদী সংকট এবং সুদের হার বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষ করে, বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ, তেলমূল্যের অস্থিরতা এবং করোনা মহামারির পরবর্তী অর্থনৈতিক প্রভাবের কারণে বাজারে অস্থিরতা বজায় থাকতে পারে। তাছাড়া, স্থানীয় ব্যাংকিং খাতে চলমান সমস্যা এবং পুঁজিবাজারের উপর তাদের ঋণ প্রবাহে কড়াকড়ির প্রভাবও বাজারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week