প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: June 13, 2024, 3:13 p.m.মিঠা পানির মাছে চীনকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ! মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয়। ভবিষ্যতে প্রথম স্থান অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। গত দুই বছরে ইলিশ, দেশীয় প্রজাতির মাছ (যেমন, পাঙাস, বোয়াল, আইড়, ছোট মাছ) এবং কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাটকা সংরক্ষণ, প্রজনন সুরক্ষা, অভয়াশ্রম স্থাপনসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরও জানান, মিঠা পানির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং গবেষণার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মাছের প্রজনন ও বৃদ্ধির হার বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন নতুন মৎস্য খামার স্থাপন করা হয়েছে এবং পুরাতন খামারগুলোর আধুনিকায়ন করা হয়েছে। মৎস্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য সরকার বিভিন্ন প্রণোদনা ও সহায়তা প্রদান করছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫.৭১ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ২০৩০ সালে মৎস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬৫ লাখ মেট্রিক টন এবং ২০৪১ সালে ৮৫ লাখ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। টেকসই মৎস্য উৎপাদনের জন্য সেক্টরাল অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, এবং সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। দেশীয় প্রজাতির মাছের সংরক্ষণের জন্য নদী-নালায় পোনা অবমুক্ত করা হচ্ছে এবং কারেন্ট জাল ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া মাছ প্রজাতি পুনরুদ্ধারের জন্যও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, বাংলাদেশ বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশি ইলিশ শুধু দেশীয় বাজারেই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মন্ত্রী বলেন, “আমরা ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানোর জন্য গবেষণা এবং উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখব, যাতে বাংলাদেশ বৈশ্বিক মাছ উৎপাদনের শীর্ষ স্থানে পৌঁছাতে পারে।”
1 month, 2 weeks
2 months, 2 weeks
3 months, 2 weeks
3 months, 2 weeks
3 months, 2 weeks