প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: June 28, 2024, 10:15 p.m.গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি পাচারকারী, অপ্রদর্শিত ও অবৈধ সম্পদের মালিকদের বাজেটে দেওয়া কর ছাড় বাতিল এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে পোশাক শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের জনগণের জন্য রেশনিংসহ সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থায় বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে। শুক্রবার (২৮ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এসব দাবি জানায়। সংগঠনের সভাপ্রধান তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক এফ এম নুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীর সাহা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা শামীম হোসন, হযরত বিল্লালসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, "৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট রপ্তানি আয়ের শীর্ষখাতের কারিগর পোশাক শ্রমিকসহ শ্রমজীবীদের জীবনে স্বস্তির সুবাতাস আনতে পারেনি। বরং এনেছে দুর্ভোগ ও অনিশ্চয়তার শঙ্কা। বাজেটে দ্রব্যমূল্যের কষাঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য কোন সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই। পোশাক শ্রমিক ও শ্রমজীবীদের জন্য রেশনিং, আবাসনসহ শ্রমখাতে বাজেটে বরাদ্দের দাবি দীর্ঘদিন ধরে উঠলেও প্রস্তাবিত বাজেটে তার কোন প্রতিফলন নেই। বৈধ ও প্রদর্শিত আয়কারীদের সর্বোচ্চ কর ৩০%, অন্যদিকে অবৈধ-অপ্রদর্শিত সম্পদের মালিকদের কর মাত্র ১৫%। এটি নিয়মিত বৈধ সৎ করদাতাদের উপর চাপ বাড়াচ্ছে।
এই বিশেষ ছাড় ক্ষমতাবান বিশেষ ব্যক্তি-গোষ্ঠী-প্রতিষ্ঠানকে সরকারের ছত্রছায়ায় রক্ষা পাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। সরকারের জবাবদিহিতাহীন, অস্বচ্ছ ও অগণতান্ত্রিক সকল তৎপরতাকে টিকিয়ে রাখতেই দুর্নীতিগ্রস্তদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যা বাজেটে আবারও স্পষ্ট হয়েছে। বর্তমান বাজার সিন্ডিকেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে। পোশাক শ্রমিকরা যে ১২ হাজার ৫০০ টাকা মজুরি পান তা তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ। অক্লান্ত পরিশ্রম করে ওভারটাইম করেও তারা জীবিকা নির্বাহ করতে পারছে না। সুচিকিৎসারও ব্যবস্থা নেই। দেশে কোনও জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নেই। এই পরিস্থিতিতে পোশাক শ্রমিকসহ শ্রমজীবীদের জীবন রক্ষায় বাজেটে বরাদ্দ এখন সময়ের দাবি।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week