প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: July 10, 2024, 9:08 p.m.বিসিএস প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে তাহসান খানের জড়িত থাকার অভিযোগ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই দাবি করছেন যে, তাহসান তার মায়ের প্রভাব ও প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন। তবে, এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আসলে, ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত ২৪তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল। ঐ সময়ে তাহসান লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু ভাইভা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। সংক্ষেপে, তাহসান কখনোই পররাষ্ট্র ক্যাডারে নির্বাচিত হননি এবং প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে কোনো সুবিধাও পাননি।
এই বিষয়ে গুজব ছড়ানোর পেছনে কারা জড়িত তা তদন্ত করে বের করছে কর্তৃপক্ষ। গুজব ছড়ানো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগুলি সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এমন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যে এই গুজবের উৎপত্তি এবং বিস্তারকারীদের শনাক্ত করতে অনুসন্ধান শুরু করেছে। সাইবার ক্রাইম ইউনিট এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রয়োগকারী বাহিনীও সক্রিয়ভাবে এই বিষয়টি তদন্ত করছে।
আমাদের সকলের উচিত সচেতন থাকা এবং গুজব বিশ্বাস না করা। সঠিক তথ্যের জন্য বিশ্বস্ত উৎসের উপর নির্ভর করা উচিত। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের উচিত সব সময় তথ্য যাচাই করে নেওয়া এবং ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার না করা। যদি কোনো সন্দেহজনক তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে সেটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে হবে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
এছাড়া, গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে যেন তারা যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য প্রচার না করে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের গুজব এবং মিথ্যা তথ্য প্রচারের ফলে সমাজে বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে, যা প্রতিরোধ করার জন্য সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তাই, সচেতনতার মাধ্যমে এবং সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে আমরা এই ধরনের গুজব প্রতিরোধ করতে পারি।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week