ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ১০ ফুট পানির নিচে সুন্দরবন, বন্যপ্রাণীদের ক্ষতির আশঙ্কা

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: May 27, 2024, 3:19 p.m.
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ১০ ফুট পানির নিচে সুন্দরবন, বন্যপ্রাণীদের ক্ষতির আশঙ্কা

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা ৭ থেকে ১০ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এই বন্যার ফলে বন্যপ্রাণী, বনজীবী এবং বনকর্মীদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে বন বিভাগ। বিশেষ করে কটকা, কচিখালি, নীলকমল, মান্দারবারি এবং হলদিবুনিয়া এলাকাগুলো ৭ থেকে ১০ ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। এই এলাকাগুলো হরিণ, বানর, শুকরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য, যা পানিতে ডুবে যাওয়ায় এই প্রাণীরা তাদের আশ্রয়স্থল এবং খাদ্য হারিয়ে ফেলেছে। সুন্দরবনের সকল মিঠা পানির উৎস লোনা পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বন্যপ্রাণী, বনজীবী এবং বনকর্মীদের খাবার ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যপ্রাণী, বিশেষ করে শাবক ও অসহায় প্রাণীরা, পানিতে ভেসে বেড়ানো অথবা শিকারীর হাতে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

বন বিভাগ আশঙ্কা করছে যে এই বন্যার ফলে ব্যাপক পরিমাণে বন্যপ্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, বিশেষ করে বাঘ শাবক, হরিণ শাবক, শকুন শাবক এবং অন্যান্য অসহায় প্রাণীদের ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। বন বিভাগ দ্রুত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করার চেষ্টা করছে, তবে ব্যাপক এলাকা পানিতে নিমজ্জিত থাকায় তা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

এই বন্যা সুন্দরবনের পরিবেশ ব্যবস্থার উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। লবণাক্ত পানিতে দীর্ঘ সময় ডুবে থাকার ফলে মাটির উর্বরতা কমে যেতে পারে। বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থল ধ্বংস হতে পারে, যার ফলে তাদের প্রজনন ও টিকে থাকার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। সুন্দরবনকে ভবিষ্যতের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ নির্মাণ, বনায়ন এবং ম্যানগ্রোভ বন রক্ষার মাধ্যমে বন্যার প্রভাব কমানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। পাশাপাশি, বন্যপ্রাণীদের জন্য আশ্রয়স্থল ও খাদ্যের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।


আরও পড়ুন