পৈতৃক জমিতে উৎপাদিত বোরো ধান বিক্রি করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামের কাছে তিনি ৮০ মণ ধান বিক্রি করেছেন, যার মূল্য বাবদ ৯৬,০০০ টাকা পেয়েছেন। টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদাম ও উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য গুদামের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (২৮ মে) প্রধানমন্ত্রীর ধান সংগ্রহ করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রীর ঠিকানা হিসেবে ধানমন্ডির সুধা সদন উল্লেখ করা হয়েছে, যা তিনি ভোটার হওয়ার সময় স্বামী মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়ার ঠিকানা হিসেবে দিয়েছেন।

এবার দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী সরকারি খাদ্য গুদামের কাছে ধান বিক্রি করলেন। গত বছর বোরো মৌসুমে তিনি প্রথমবারের মতো খাদ্য গুদামের কাছে ধান বিক্রি করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৩ টন ধানের ওজন, মান ও মজুত সনদ প্রদান করা হয়েছে। সনদের তথ্যমতে, প্রধানমন্ত্রী ৭৫ বস্তায় ৩,০০০ কেজি ধান সরকারি ধার্য করা মূল্য ৩২ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছেন, যার ফলে তিনি ৯৬,০০০ টাকা পেয়েছেন। সনাতন পদ্ধতির পরিমাপে প্রধানমন্ত্রীর বিক্রি করা ধানের পরিমাণ ৮০.৩৯ মণ।

টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস জানান, “প্রধানমন্ত্রী তিন টন ধান সরকারি খাদ্য গুদামের কাছে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করেছেন এবং এর বিনিময়ে তিনি ৯৬,০০০ টাকা পেয়েছেন, যা তার ব্যাংক হিসাবে অনলাইনে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম বলেন, “প্রধানমন্ত্রী তার পৈতৃক জমিতে উৎপাদিত ধান বিক্রি করছেন। কৃষি বিভাগের মাধ্যমে উপজেলা খাদ্য গুদাম এই ধান ক্রয় করেছে।” গত বছরও প্রধানমন্ত্রী খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করেছিলেন বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর এই ধান বিক্রির ঘটনা দেশের কৃষি ও খাদ্য সংরক্ষণ কার্যক্রমে উৎসাহ যোগাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ধরনের উদ্যোগ সাধারণ কৃষকদের মধ্যে আশাবাদ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। এটি প্রমাণ করে যে, দেশের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিত্বেরাও কৃষি কার্যক্রমে সরাসরি অংশ নিচ্ছেন, যা দেশের কৃষি ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।