প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: May 24, 2024, 2:01 a.m.ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন (ডব্লিউসিও) এবং বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর মধ্যে মাইল্ড হাইব্রিড গাড়িকে নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। এনবিআর মনে করে এগুলো নন-হাইব্রিড গাড়ি, যার ফলে উচ্চ শুল্ক প্রযোজ্য। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা মনে করেন এগুলো হাইব্রিড এবং কম শুল্ক দিতে চান।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর ও এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) কর্মকর্তারা শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে দেখতে পায়— গাড়িটি ৬ সিলিন্ডারের পেট্রোল ইঞ্জিন দ্বারা চালিত। যার সঙ্গে ৪৮ভি মাইল্ড হাইব্রিড টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। মাইল্ড গাড়ির ইঞ্জিন স্টার্ট বা স্টপের কাজ করে। একই ধরনের বিলাসবহুল দুটি গাড়িকে হাইব্রিড ঘোষণা দেওয়ার কারণে ১৩ কোটি টাকার বেশি জরিমানা করা হয়।এই জটিলতার কারণে বন্দরে ৩০ টিরও বেশি গাড়ি আটকে আছে।
এ বিষয়ে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে যেটা হচ্ছে হাইব্রিড ঘোষণা দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করছে একটি গোষ্ঠী, যা আসলে উচ্চবিত্তরা ক্রয় করছে। সাধারণত হাইব্রিড ও বিলাসবহুল নন-হাইব্রিড গাড়ির শুল্কের পার্থক্য দুই থেকে তিনগুণ হয়ে থাকে। যেমন- আটককৃত ২৯৯৬ সিসির হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক পরিশোধ হয়েছিল ২২১ শতাংশ। কিন্তু একই সিসির নন-হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক হবে ৪৩০ শতাংশ।
২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বাজেটে হাইব্রিড এবং নন-হাইব্রিড গাড়ির এইচএস কোডের সাথে নতুন কিছু শর্ত যুক্ত করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে হাইব্রিড ও নন-হাইব্রিড সংজ্ঞা আরও সুনির্দিষ্ট করা, আমদানিকারী দেশের ঘোষণাপত্র, বিলাসবহুল গাড়ির মূল্য বিবেচনা করা এবং পরিবেশবান্ধব কি না, সে বিষয়ে ছাড়পত্র যাচাই করা।
নতুন নীতির মাধ্যমে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য হাইব্রিড গাড়ি আমদানি সহজ করা এবং পরিবেশবান্ধব গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে।নতুন নীতির ফলে বিলাসবহুল গাড়ির দাম বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week