কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার তারিখ জানানো হবে রবিবার

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: July 28, 2024, 1:08 a.m.
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার তারিখ জানানো হবে রবিবার

কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সমস্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি কখন আবার খোলা হবে সে বিষয়ে রবিবার (২৮ জুলাই) সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব ফরিদ আহমেদ কালবেলাকে শনিবার (২৭ জুলাই) বলেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার চেষ্টা চলছে। স্কুলগুলি কখন খোলা হবে সে সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল (২৮ জুলাই) একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের পর জানা যাবে কখন প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হবে।

বুধবার (২৪ জুলাই) প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান তুহীন বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্কুলগুলি বন্ধ থাকবে।

এর আগে, শিক্ষা মন্ত্রক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনে সমস্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠান) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছিল। শিক্ষা মন্ত্রকের মতে, স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলিও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সমস্ত কলেজ ও প্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ প্রসঙ্গে বলেন, "শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেব।"অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগের বিষয়টি বিবেচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করার জন্য কাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হবে।

তাছাড়া, শিক্ষামন্ত্রী জানান যে, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম জারি থাকবে এবং শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে। অনলাইন ক্লাসের জন্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যাতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে।

মোটকথা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে, রবিবারের বৈঠকের পরই বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।


আরও পড়ুন