ইন্টারনেট বন্ধের সময়ে ব্যাংকিং সেবা চালু রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজছে বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: Aug. 2, 2024, 9 p.m.
ইন্টারনেট বন্ধের সময়ে ব্যাংকিং সেবা চালু রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজছে বাংলাদেশ ব্যাংক

স্মার্ট বাংলাদেশ ও ক্যাশলেস অর্থনীতি গড়ার জন্য ডিজিটাল আর্থিক সেবার ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু বড় আন্দোলনের সময় সরকার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়, যা ব্যাংকিং কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবাগুলি অচল হয়ে পড়ে, ফলে গ্রাহকরা সমস্যায় পড়েন এবং দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও ব্যাংকিং সেবা চালু রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা খোঁজা হবে।

 

১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের কারণে দেশে ব্যাপক সহিংসতা ঘটে এবং ১৮ জুলাই সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাট-ডাউন’ ঘোষণা করা হয়। ওই দিন দুপুরে ইন্টারনেট সেবা সীমিত করা হয় এবং রাতে পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়। এর ফলে ১৮ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি বিভাগ বিকল্প ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা করছে এবং একটি প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে, যা শীঘ্রই গভর্নরের কাছে জমা দেয়া হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকার ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করবে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, “সরকার সাধারণত আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করার উদ্দেশ্যে আমাদেরও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। তাই বিকল্প ব্যবস্থা তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে।”

 

অ্যাকসেস নাউ-এর ডেটাবেজ অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে তিনবার ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। ২০২২ সালে ছয়বার এবং ২০২১ সালে দুইবার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল।বৈঠকের পর ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন মন্তব্য করেন, “দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েও চিন্তা করতে হবে। এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, যা ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও ব্যাংকিং কার্যক্রম চলমান রাখবে।”

 

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, “ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার কারণে আমাদের কিছু এটিএম ছাড়া অনেক সেবা বন্ধ ছিল। বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে ভাবনা প্রয়োজন এবং প্রয়োজনে ম্যানুয়ালি ব্যাংকিং পরিচালনার বিষয়েও চিন্তা করা উচিত।”


আরও পড়ুন