সময়ের প্রবাহে, বাজারে ডিমের মূল্য ঊর্ধ্বগতি

সময়ের প্রবাহে ডিমের মূল্য বাড়ছে বাজারে। বাংলাদেশে, গত সপ্তাহের মধ্যে ডিমের দাম বৃদ্ধি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এখন খোলাবাজারে, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে। ঈদের পরে, বাজারে ডিমের চাহিদা বাড়ছে এবং তার পরিবর্তে সরবরাহ কম হলেও দাম বাড়ছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করছে।

এদিকে, প্রান্তিক খামারিরা অভিযোগ করছেন যে তারা তাদের উৎপাদন খরচের তুলনায় ডিম বিক্রি করলে তারা লাভ করতে পারছে না। তাদের মনে হলো, তারা উৎপাদন খরচের উপরে দাম নির্ধারণ করে বাজারে নিয়ে যায় তেজগাঁও ডিম সমিতি এবং কয়েকটা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান। তারা আরো বলেন যে তারা মূল্য নির্ধারণ করে এই বাজারে ডিম বিক্রি করতে হলে তাদের লাভ প্রাপ্তি কমে যায়।

মুহাম্মাদ হাওলাদার দাবি করেন, “এই অবস্থায় ডিমের দাম বাড়ছে কারণ ব্যবসায়ীরা নিজেদের লাভের ক্ষেত্রে উপক্রম ধরে রাখছেন। খামারিরা এই সম্পর্কে আলোচনা করছেন যে যদি সরকার মূল্য  নির্ধারণ করে তাহলে তা যৌক্তিক হবে, কিন্তু বর্তমানে ডিম ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থে এই দাম বাড়াচ্ছেন”।

অফিসিয়ালদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভিন্ন অঞ্চলে নাম হয়েছে যে ডিম বেনামে মজুদ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে একটি অভিযান চালিয়ে প্রয়াত হয়। উক্ত অভিযানে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় একটি হিমাগার থেকে ২৮ লাখ ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, নরসিংদীতে একটি হিমাগার থেকে ২০ লাখ ডিম উদ্ধার করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের অধীন অধিক প্রধান সফিকুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে বলেন, "সাধারণত ডিম হিমাগারে সংরক্ষণ করা যায় না। অস্বাভাবিক উদ্দেশ্যেই এটি করা হয়। ডিম মজুদের মৌলিক উদ্দেশ্য হচ্ছে বাজারে সরবরাহের পর দাম বৃদ্ধি করে ব্যবসা করা। এই ধারণায় বিভিন্ন অঞ্চলে নাম হয়েছে - বেনামে মজুদের প্রমাণ। তবে, বর্তমান আইনে ডিম হিমাগারে সংরক্ষণ করা হলে তা প্রতিবন্ধী ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।"

তিনি বলেন, "বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্থির রাখার জন্য এই অভিযান চালিয়ে যায়। তবে, অনেক অঞ্চলে অভিযোগ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর অভিযান চালানো হয়নি। কুমিল্লায় অভিযানের খবর পেয়ে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে, যেখানে হিমাগারের ডিম বা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে।"

অভিযানের পরে এই ডিমগুলি বাজারে বিক্রির জন্য ব্যবস্থা করা হবে। এটি নিশ্চিত করার জন্য যাতে বাজারে ডিমের সরবরাহ প্রয়োজনীয় অবস্থা থাকে। এছাড়াও, স্থানীয় প্রশাসন ও সময় দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।