চোখের চিকিৎসা করতে লন্ডনে সাকিব

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: Jan. 15, 2024, 5:34 p.m.
চোখের চিকিৎসা করতে লন্ডনে সাকিব

অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ার পরদিন থেকেই। তবু এ দিন তাকে দেখে বিস্মিত অনেকেই। তার চোখে যে চশমা! একটু ভালো করে খেয়াল করে দেখা গেল, রোদচশমা নয়, সাধারণ চশমাই সেটি। চশমা চোখে নেটে প্রায় আধঘণ্টা নক করলেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। নতুন রূপে সাকিব এসেছিলেন বাধ্য হয়েই। বেশ কিছুদিন ধরেই চোখের সমস্যায় ভুগছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সম্প্রতি ঢাকাতেও চিকিৎসা করান তিনি। বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে গতকাল রাতেই যুক্তরাজ্যের লন্ডনের পথে উড়াল দিয়েছেন সাকিব।
ব্যাট হাতে সাকিবের মাঠে ঢোকা থেকে শুরু করে নক করার পুরো সময়টায় খুব কাছাকাছি ছিলেন বিসিবির চিকিৎসক মঞ্জুর হোসেন চৌধুরি। চশমা ব্যবহারের কারণটি অনুমান করে নিতে তাই সমস্যা হয়নি। চোখের যে সমস্যায় তিনি ভুগছেন গত বিশ্বকাপ থেকে, সেটির সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে চশমার আশ্রয় তিনি নিয়েছিলেন। তবে রংপুর রাইডার্সের দল সূত্রে জানা গেছে, চশমা ব্যবহার করেও খুব একটা উপকার পাননি সাকিব। চোখের চিকিৎসক দেখাতে তাই দেশের বাইরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বিপিএল শুরুর আগেই তার ফেরার কথা। তবু টুর্নামেন্টের শুরুতে তাকে পাওয়া নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তাও তৈরি হতে পারে।
গত বিশ্বকাপ চলার সময় চেন্নাইয়ে চোখের চিকিৎসক দেখিয়েছিলেন সাকিব। তবে কোনো সমস্যার কথা তখন আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি। সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে তিনি নিজেই জানান, গত বিশ্বকাপে চোখের সমস্যায় ভুগছেন তিনি এবং গোটা বিশ্বকাপ সেই সমস্যা নিয়েই খেলেছেন। ব্যাটিংয়ে বল দেখার ক্ষেত্রে প্রবল অস্বস্তি হয়েছে বলেও জানান তিনি। বিসিবির মেডিকেল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চেন্নাইয়ে চিকিৎসক দেখানোর পর চোখের ড্রপ দেওয়া হয়েছিল তার জন্য। কিন্তু সেটি কাজে লাগেনি খুব একটা। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, তার চোখের এই সমস্যা হচ্ছে ‘স্ট্রেস’ থেকে, চাপ কমে গেলে সমস্যাও কমে যাবে। বিশ্বকাপের মধ্যে চাপ কমার উপায়ও ছিল না। তার ব্যাটিং স্টান্স, হেড পজিশনে বড় পরিবর্তনও দেখা যায় বিশ্বকাপ চলার সময়। সেটি মূলত চোখের সমস্যার কারণেই। পরে তো বিশ্বকাপের শেষ দিকে আঙুলের চোট নিয়ে ছিটকে যান তিনি।
চেন্নাইয়ের চিকিৎসকের কথার সত্যতা পাওয়া যায় পরে। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সাকিব আবার চিকিৎসক দেখান, তখন কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি। ধরে নেওয়া হয়, তখন চাপ ছিল না বলেই চোখের সমস্যাও ছিল না। এরপর দেশে ফিরে জাতীয় নির্বাচনের প্রচারে রাত-দিন ব্যস্ত সময় কেটেছে তার। চাপও ছিল প্রচ-। নির্বাচন শেষে অনুশীলনে ফেরার পর আবার চোখের সমস্যাও ফিরে আসে। সম্ভাব্য সমাধান হিসেবেই রোববার চশমা-পরীক্ষা চালানো হয়। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। বিসিবির মেডিকেল বিভাগ থেকে জানা গেছে, আরও একবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে এটি পরিষ্কার হওয়ার জন্য যে, আদতেই ‘স্ট্রেস’ থেকে সমস্যা হচ্ছে নাকি চোখেরই কোনো রোগ আছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল তার চোখে একটি রুটিন পরীক্ষা করানো হয় বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী, ‘আসলে একটা রুটিন পরীক্ষা করা হয়েছে। যেহেতু বিপিএল সামনে, অনেকদিন সে ব্যস্ত থাকবে। তার আগে সতর্কতামূলক একটা পরীক্ষা করানো হয়।’


আরও পড়ুন