প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: July 13, 2024, 10:40 p.m.নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করতে চায়। বর্তমানে তাদের হাতে থাকা সচল মেশিন দিয়েই এই নির্বাচনগুলো সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এমনকি আগামী ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইভিএম ব্যবহারে কিছু সমস্যাও রয়েছে।
বর্তমান ইভিএমগুলো শতভাগ ত্রুটিমুক্ত নয়, অনেক মেশিনে ওজন বেশি, ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেইল (ভিভিপ্যাট) সুবিধা নেই এবং দামও বেশি। ইভিএম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান একটিমাত্র, তা হলো বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ)। নতুন করে ইভিএম কিনলে কার কাছ থেকে নেওয়া হবে তা এখনো চূড়ান্ত নয়। এছাড়াও, দক্ষ কারিগরি লোকবলের অভাব রয়েছে। ছোটখাটো সমস্যা সমাধানের জন্যও প্রশিক্ষিত কর্মী নেই।
সমাধানের জন্য নির্বাচন কমিশন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ইভিএমের কারিগরি উন্নয়নের জন্য ওজন কমানো, ভিভিপ্যাট যুক্ত করা এবং দাম কমানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটি ইভিএমের উন্নয়নে সুপারিশ করবে এবং স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করে ইভিএমের উন্নয়নে কাজ করবে। ইভিএম সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঢাকায় একটি ওয়্যারহাউজ তৈরি করা হবে।
ইতিহাস বলছে, ২০০৭ সালে এক-এগারো সরকারের সময় প্রথমবারের মতো ইভিএম ব্যবহার শুরু হয়। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উন্নত মানের ইভিএম ব্যবহার করা হয়। কিন্তু মাত্র ৫ বছরের মধ্যেই অনেক ইভিএম অকেজো হয়ে পড়ে। বর্তমানে দেড় লাখ ইভিএম ব্যবহার অনুপযোগী এবং আরও ৪০ হাজার মেশিনে ত্রুটি রয়েছে।
ভবিষ্যতে সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার, ইভিএমের কারিগরি উন্নয়ন এবং দক্ষ কারিগরি লোকবল তৈরি করার পরিকল্পনা করছে ইসি। ইভিএম নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও দ্রুত করতে পারে। তবে, ইভিএমের উন্নয়ন ও দক্ষ জনবল তৈরির মাধ্যমে এর ত্রুটিগুলো দূর করা জরুরি।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week