আরাফাত দিবসের রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: June 14, 2024, 8:50 p.m.
আরাফাত দিবসের রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত

আরাফাত দিবসে মহান আল্লাহ তার ক্ষমা, রহমত ও দয়া উপস্থাপন করেন। আরাফা আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে চেনা, জানা। এটি তওবা করার দিবস, ক্ষমা প্রার্থনা করার দিবস। আরাফাত দিবসের রোজার বিনিময়ে মহান আল্লাহ দুই বছরের ছোট গুনাহ ক্ষমা করে দেন। বড় গুনাহের জন্য তওবা করতে হবে।

জিলহজ মাসের ৯ তারিখ পবিত্র আরাফাতের দিন। এবারের হজে সৌদি আরবে অবস্থানকারীদের জন্য সেই দিনটি হলো ১৫ জুন, শনিবার। আর সৌদি আরবের বাইরের দেশে অবস্থানকারীরা সঠিক মতানুযায়ী জিলহজের চাঁদ ওঠা সাপেক্ষে নিজ দেশের সঙ্গে মিলিয়ে ৯ জিলহজ রোজা রাখবেন। বাংলাদেশে সেই দিনটি হলো রোববার। অর্থাৎ শনিবার শেষরাতে সেহরি খেয়ে রোববার রোজা রাখলে আরাফাতের দিনে রোজা রাখার বিশেষ সওয়াব পাওয়া যাবে- ইনশাআল্লাহ।

আরাফাত দিবসের একটি রোজা রাখলে বান্দার দুই বছরের গুনাহ মাফ হয় বলে হাদিসে এসেছে। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "আরাফাতের দিনের রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা রাখি যে, তিনি আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।" (মুসলিম: ১১৬২)

অন্য হাদিসে এসেছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী বর্ণনা করেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৯ জিলহজ তারিখে রোজা রাখতেন। (আবু দাউদ: ২৪৩৭)

জিলহজ মাসের ১ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা। এতে আরাফাত দিবসের রোজা তো পাওয়া যাবেই, একইসঙ্গে অনেক সওয়াব ও ফজিলত লাভ করা যাবে। জিলহজের প্রথম ১০ দিন মহান আল্লাহর কাছে খুব বেশি প্রিয়। এ সময়ে সামান্য আমলে অতি সহজে মহান আল্লাহর প্রিয়পাত্র হওয়া যায়। মহান আল্লাহ সুরা ফজরের ২ নম্বর আয়াতে ১০ রাতের কসম করে বলেন,

وَ الۡفَجۡر- وَ لَیَالٍ عَشۡرٍ (উচ্চারণ: ওয়াল ফাজর ওয়ালায়ালিন আশর)

অর্থ: শপথ ফজরের, শপথ ১০ রাতের।

অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে, এখানে ১০ রাত বলতে জিলহজ মাসের প্রথম ১০ রাত বোঝানো হয়েছে। আর স্বয়ং আল্লাহ যখন কোনো সময়ের কসম খান, সেটার গুরুত্ব যে কতখানি, তার ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন।

এছাড়াও আরাফাত দিবসে বেশি বেশি ইবাদত, দোয়া, তওবা এবং কোরআন তেলাওয়াত করা উচিত। হজ পালনকারীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন, কারণ এই দিনে তারা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেন এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আর যারা হজে যেতে পারেন না, তারা এই দিনে রোজা রেখে এবং বেশি বেশি ইবাদত করে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারেন।


আরও পড়ুন