দিনাজপুরের 'ব্যানানা' আম এখন সুইজারল্যান্ডের বাজারে

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: July 12, 2024, 8:21 p.m.
দিনাজপুরের 'ব্যানানা' আম এখন সুইজারল্যান্ডের বাজারে

দেশের সীমানা ছাড়িয়ে দিনাজপুরের আম এখন বিদেশ ভ্রমণ করছে। বিরল উপজেলার রাজারামপুর ও সদরডাঙ্গায় উৎপাদিত 'ব্যানানা' জাতের আম এবার সুইজারল্যান্ডে রফতানি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে রফতানির জন্য ৫০০ কেজি আম প্যাকেটজাত করা হয়েছে। ব্যানানা জাতের আমের স্বাদ মিষ্টি, গন্ধ সুগন্ধি এবং রঙ সোনালী হলুদ, যা সুইজারল্যান্ডের ভোক্তাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন পর্যায়ক্রমে সুইডেন ও কাতারেও তিন মেট্রিক টন ব্যানানা আম রফতানি করা হবে। সুইডেন ও কাতারের বাজারেও এই আমের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।

'ব্যানানা' জাতের আমের বাগান করেছেন কৃষক আনোয়ারুল ইসলাম। ১০ বিঘা জমিতে দেড় হাজার গাছ নিয়ে তাদের আমবাগান। বাগানের প্রতিটি গাছে ঝুলছে ব্যানানা, কার্টিমন, বারি-৪ জাতের বিষমুক্ত আম। রাজারামপুর ও সদর ডাঙ্গায় আম বাগানে ১৩ জন শ্রমিক দিনরাত বাগানের পরিচর্চা করে আসছেন। আনোয়ারুল ইসলাম কয়েক বছর আগে প্রথম 'ব্যানানা' জাতের আম চাষ শুরু করেন এবং স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহায়তায় বিষমুক্ত চাষাবাদে মনোনিবেশ করেন।

বুধবার (১০ জুলাই) কৃষি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় রফতানির জন্য ৫০০ কেজি আম প্যাকেটজাত করা হয়েছে। আরও ৩ মেট্রিকটন আম সুইডেন-কাতারে রফতানির কার্যক্রম চলছে। আম বাগান দেখতে এলাকা ছাড়াও বাইরের লোকজন আসছেন। সুমিষ্ট আম দেখে অনেকে উদ্যোক্তা হতে চান।

বিরলের উপসহকারী কৃষি কর্মকতা আফজালুর রহমান জানান, রাসায়নিক ও কীটনাশকমুক্ত আম উৎপাদনে কৃষক আনোয়ারুলকে সবরকম পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। এই বাগানে 'ব্যানানা', কার্টিমন, বারি-৪ বিষমুক্ত।

গতবারের চেয়ে এবার প্রতিটি গাছে ভালো ফলন হয়েছে। নিজের দেশের পাশাপাশি বিদেশে আম পাঠাতে পেরে খুশি কৃষক আনোয়ারুল। তিনি জানান 'ব্যানানা' জাতের আম প্রতি মণ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম জানালেন, সুইজারল্যান্ডের পর পর্যায়ক্রমে সুইডেন ও কাতারে তিন মেট্রিকটন ব্যানানা, কার্টিমন, বারি-৪ আম রফতানি করা হবে। ইতোমধ্যে সুইজারল্যান্ডের জন্য ৫০০ কেজি আম প্যাকেটজাত করা হয়েছে।

বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে ঢাকার সানড্রপ এপেটিক নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমগুলো সুইজারল্যান্ডে পাঠানো হচ্ছে। দিনাজপুর থেকে বিদেশে আম রফতানি করার ফলে স্থানীয় অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে, কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।


আরও পড়ুন