জাতীয় সংসদে ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: June 24, 2024, 8:22 p.m.
জাতীয় সংসদে ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদ ভবনে 'মুজিব ও স্বাধীনতা' শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের রাজনীতির বিভিন্ন যুগের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে সংসদ ভবনের নিচতলায় 'মুজিব ও স্বাধীনতা' শীর্ষক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ ভবনে পৌঁছালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে স্বাগত জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী ফিতা কেটে 'মুজিব ও আজাদি'র উদ্বোধন করেন। প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত বিভিন্ন স্থিরচিত্র ও উপাখ্যান সম্পর্কে স্পিকার প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং 'মুজিব ও আজাদি'র প্রশংসা করেন। তিনি জাতীয় সংসদে এই প্রদর্শনী স্থাপনের জন্য স্পিকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এমপি, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি, হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, হুইপ মাশরাফী বিন মর্তুজা এমপি এবং হুইপ সানজিদা খানম এমপি। পরে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ জাতীয় সংসদ সদস্যরা 'মুজিব ও স্বাধীনতা' শীর্ষক প্রদর্শনীটি পরিদর্শন করেন।

'মুজিব ও স্বাধীনতা' প্রদর্শনী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাস সংরক্ষণ এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে প্রচারের জন্য একটি অনন্য প্রচেষ্টা। প্রদর্শনীটি তিনটি কক্ষে বিভক্ত এবং বিভিন্ন পর্যায়ে বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।

প্রথম কক্ষে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোর, ভারত বিভাজন ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, ভাষা আন্দোলন ও ৫০-এর দশকের রাজনৈতিক পরিবর্তন, বাংলা মুক্তি সনদের ৬ দফা, ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭০-এর নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

দ্বিতীয় কক্ষটি ১৯৭০-এর ঐতিহাসিক নির্বাচনী বিজয়ের প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস উপস্থাপন করে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, ২৫ মার্চের গণহত্যা, ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের আত্মত্যাগের ধারাবর্ণনা এখানে প্রদর্শিত হয়েছে।

তৃতীয় কক্ষে বাংলাদেশের গৌরবময় বিজয়ের ইতিহাস, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদান, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের পরিচয় সুসংহত করার ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সংগ্রামী জীবন এবং বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক জীবনের কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হয়েছে। প্রদর্শনীতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও তুলে ধরা হয়েছে। জাতীয় সংসদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


আরও পড়ুন