প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: Aug. 10, 2024, 8:40 p.m.চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকা কমলাপুর আইসিডি পর্যন্ত কনটেইনার ট্রেন পরিষেবা ২৩ দিনের জন্য স্থগিত রয়েছে।
১৮ জুলাই থেকে এই ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। ফলে, চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে ৮০০ ধারণক্ষমতার এলাকায় প্রায় ২৩০০টি কন্টেইনার আটকে রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, যদি শীঘ্রই পরিষেবা পুনরায় চালু না হয়, তবে কন্টেইনার ট্রেনের সক্ষমতা ও পরিচালনা ভেঙে পড়তে পারে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মতে, বর্তমানে আইসিডি ইয়ার্ডে ৮০০ টিইইউএস কন্টেইনারের ধারণক্ষমতা রয়েছে, কিন্তু বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) পর্যন্ত সেখানে ২৩০০ টিইইউএস কন্টেইনার জমা হয়েছে। এছাড়াও, ঢাকাগামী কনটেইনার জাহাজ বাইরের রিংয়ে বার্থিংয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। অতিরিক্ত ওজনের ওয়াগনের অভাবে, কন্টেইনার দ্রুত সময়ে ঢাকা আইসিডি-তে না পাঠানো গেলে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং কন্টেইনারে যানজট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং ২ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতা চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে রেলপথকে কন্টেইনার ট্রেনের ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়ানোর এবং প্রতিদিন ন্যূনতম ২০০ টিইইউএস ওয়াগন সরবরাহের অনুরোধ করা হয়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্বাভাবিক সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকা আইসিডিতে প্রতিদিন দুই জোড়া ট্রেনে কন্টেইনার পরিবহন করা হতো। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্দরের যানজট কমাতে প্রতিদিন ২০০টিরও বেশি কন্টেইনার পরিবহন প্রয়োজন। নিরাপত্তার কারণে রেল কর্তৃপক্ষ এখনও ট্রেন চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশব্যাপী সহিংসতার কারণে রেল কর্তৃপক্ষ ট্রেন চালানোর বিষয়ে সন্দেহের মধ্যে রয়েছে। রেলপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এবং দেশের আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষ থেকে রেলের অতিরিক্ত নিরাপত্তা ও কন্টেইনার ট্রেনের চলাচল বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week