প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: June 7, 2024, 10:33 p.m.এসি চালিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এসি চালু রেখে ঘুমালে মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, অ্যালার্জি, হাঁচি-কাশি, সর্দি, এমনকি জ্বরের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এছাড়াও জয়েন্টে ব্যথাসহ অন্যান্য শারীরিক জটিলতাও হতে পারে। ভারতের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আশিস মিত্র জানান, এসির তাপমাত্রা খুব কম রাখলে শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়ে। তাই এসির তাপমাত্রা ২৬ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখা নিরাপদ। তবে সারা রাত না চালিয়ে ঘরে ঠান্ডা অনুভূতি এলেই এসি বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
১. **ফিল্টার পরিষ্কার রাখা**: নিয়মিত এসির ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে, যাতে ফিল্টারে জমে থাকা ধূলা ও জীবাণু বাতাসে ছড়িয়ে না পড়ে। ফিল্টার অপরিষ্কার থাকলে সেগুলো বায়ুর মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে, যা অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
২. **অতিরিক্ত ঠান্ডা এড়ানো**: খুব কম তাপমাত্রায় এসি চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে, কারণ এটি ঠান্ডা লাগা বা শরীরের অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কম তাপমাত্রায় দীর্ঘ সময় থাকার ফলে পেশী ও জয়েন্টের ব্যথা বৃদ্ধি পেতে পারে।
৩. **জলীয় শোষণ**: এসি চালু থাকলে ঘরের আর্দ্রতা কমে যায়, তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা জরুরি। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পানি পান খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে গরমের সময়।
৪. **শোবার পোশাক**: হালকা ও আরামদায়ক পোশাক পরতে হবে, যাতে শরীর সহজেই ঠান্ডার সাথে মানিয়ে নিতে পারে। ভারী বা ঘন পোশাক পরলে ঠান্ডা আবহাওয়ায় অস্বস্তি বোধ হতে পারে।
৫. **ব্যায়াম**: নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যা এসির কারণে হতে পারে এমন স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ব্যায়াম করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৬. **ডাক্তারের পরামর্শ**: যদি এসি ব্যবহারের ফলে কোনো শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মনে রাখবেন, আপনার স্বাস্থ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই সতর্কতাগুলো মেনে চললে এসি ব্যবহার করেও আপনি নিরাপদে থাকতে পারবেন। আপনার সঠিক যত্ন ও সতর্কতা আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week