ঝিনাইদহে অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: Jan. 16, 2024, 5:49 p.m.
ঝিনাইদহে অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত

ঝিনাইদহের শৈলকূপার আশুরহাট গ্রামটিতে হঠাৎই ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি আসা শুরু করে। স্থায়ী কোনো বাসা না করায় পাখিগুলো যায় আসে। এরপর কেটে যায় কয়েক বছর। ২০১৩ সালে স্থায়ীভাবে বাসা বেঁধে বসবাস শুরু করে হাজার হাজার পাখি। প্রচ্ছদ আজকের পত্রিকা ই-পেপার জাতীয় দেশ রাজনীতি আন্তর্জাতিক চাকরি মুক্তিযুদ্ধ খেলা মুক্তমত ক্যাম্পাস আমার আমি প্রবাসে বাংলার মুখ পরিবেশ বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ফ্যাশন শিল্প-সাহিত্য      তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির নিচে নামলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ    ফেল করে বিএনপি এখন উল্টো বলছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী    চার দিনের সফরে নিজ জেলায় রাষ্ট্রপতি    উপজেলা পরিষদের ভোট শুরু করতে চায় ইসি    বিএনপি অন্ধকার গলিপথ খুঁজে বেড়ায়: শেখ হাসিনা    দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড    বিএনপি মনের শান্তির জন্য আবোল তাবোল কথা বলছে : কাদের    গাজায় শিশুদের রক্ষায় জাতিসংঘে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি    অনিবন্ধিত হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ    চলতি বছর এক কোটি ২৫ লাখ মানুষ পাবে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ    এক বছরে সড়কে ঝরেছে ৫০২৪ প্রাণ /  দেশ ঝিনাইদহে অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত আশুরহাট   ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ১ ঘণ্টা আগে ঝিনাইদহে অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত আশুরহাট  ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ শান্ত জলের বুকে লাল শাপলার গালিচার মাঝে ঝাঁক বেঁধে ডানা মেলছে অতিথি পাখির দল। উড়ে চলা পাখির কিচির-মিচিরে মুখরিত চারপাশ। বাহারি রঙের এসব অতিথি পাখির খুনসুঁটি আর ছোটাছুটি যে কারো মনকে উদ্বেলিত করে তোলে। শীতের মৌসুমে প্রকৃতির অপরূপ অলঙ্কার হয়ে ওঠা এ অতিথি পাখির ঝাঁক বেঁধে উড়ে চলার দৃশ্য দেখে মনে হয় যেন জলরঙে আঁকা ছবি। প্রতিবছর শীতকাল এলেই বাংলাদেশের জলাশয়, বিল, হাওর, পুকুর ভরে যায় রংবেরঙের নাম না জানা পাখিতে।  জানা যায়, ঝিনাইদহের শৈলকূপার আশুরহাট গ্রামটিতে হঠাৎই ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি আসা শুরু করে। স্থায়ী কোনো বাসা না করায় পাখিগুলো যায় আসে। এরপর কেটে যায় কয়েক বছর। ২০১৩ সালে স্থায়ীভাবে বাসা বেঁধে বসবাস শুরু করে হাজার হাজার পাখি। ১০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠে পাখির অভয়ারণ্য। যা রক্ষার্থে স্থানীয়ভাবে পাহারাদারের ব্যবস্থাও করা হয়। তখন থেকেই আশুরহাট গ্রামটি লোকমুখে পাখি গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেতে থাকে। যা বর্তমানে সবার মুখে মুখে ছড়িয়েছে।  ২০১৩ সালেই তৎকালীন জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন এই এলাকাকে পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করে। প্রতিবছরের মতো গ্রামের মধ্যপাড়ার আব্দুর রাজ্জাক ও গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসের পুকুর পাড়ে শিমুুল, জাম, মেহগনি গাছের ডালে ডালে বাসা বাঁধে হাজারো পাখি। উপযুক্ত আবহাওয়া, পরিমিত খাবারের জোগান থাকায় পাখিগুলো এখানেই জায়গা করে নেয়। আষাঢ় থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত এসব পাখি এখানেই অবস্থান করে।এদিকে, রাতের আঁধারে পাখি নিধন, নিরাপত্তা ও আশ্রয়স্থল সংকটে পড়েছে। বর্তমানে নতুন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ।এলাকাবাসীর দাবি, এখানকার গাছ কাটা ও পাখি শিকার যেন না করা হয়। আশুরহাট পাখি সংরক্ষণ সমিতির সদস্য আরিফ জানান, কয়েক দিন আগে গ্রামের মকাররম আলীর ছেলে নইমুদ্দিন ও বদরউদ্দিনের ছেলে শফি উদ্দিন এই পাখি অভয়ারণ্যের গাছ কেটেছে। আরো কেউ কেউ গাছ কাটার পাঁয়তারা করছে।  স্থানীয় বাসিন্দা সফর আলী জানান, গাছ কাটার কারণে পাখিশূন্য হয়ে পড়বে এই অভায়রণ্য।আশুরহাট পাখি সংরক্ষণ সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জেলা প্রশাসক ও ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। গাছ কাটা বন্ধ না হলে অতিথি পাখিসহ অন্যান্য পাখি এই এলাকায় আসবে না।


আরও পড়ুন