প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: June 17, 2024, 8:43 p.m.কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণে পোস্তাগুলোতে এখন চলছে জমজমে কেনাবেচা। সরকার নির্ধারিত দামের মধ্যেই লেনদেন হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন আড়তদার ও ট্যানারির প্রতিনিধিরা। তবে কিছু ফেরিয়া ও মৌসুমী ব্যবসায়ী বাজার না বুঝে বেশি দামে চামড়া কিনে বিপদে পড়েছেন। বড় আকারের প্রতিটি গরুর চামড়া ৭০০-৮৫০ টাকায়, মাঝারি চামড়া সর্বোচ্চ ৬০০ টাকায় এবং খাসি ও বকরির চামড়া ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত বছরের তুলনায় এবার রাজধানীতে গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে ৫৫-৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, রাজধানীর বাইরে দাম ৭ টাকা। হিসাব না বুঝে বেশি দামে চামড়া কিনে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বিপদে পড়েছেন, কারণ তারা সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না। বিকেলের পর থেকে চামড়া শিল্পনগরীর আড়তেও ট্রাক-পিকআপ ভর্তি চামড়া আসছে, যা সরকার নির্ধারিত দামের মধ্যেই কেনাবেচা চলছে বলে ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান। উল্লেখযোগ্যভাবে, লবণ ও শ্রমিক সংকট নেই এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকার কোথাও নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
পোস্তার আড়তদাররা জানিয়েছেন, এই বছর চামড়ার সংগ্রহ ভালো হলেও কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ী অতি মুনাফার লোভে চামড়ার উচ্চ দাম দিয়েছেন, যা এখন তাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চামড়ার গুণগত মান ও দাম নিয়ে তারা এখন বিপাকে পড়েছেন। ট্যানারি মালিকদের মতে, সঠিক পরিকল্পনা ও বাজার সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান না থাকায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। সরকার চামড়া সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত লবণের ব্যবস্থা করেছে এবং শ্রমিক সংকটও দেখা দেয়নি, ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে এই হতাশা ও বিপদের কারণ শুধুমাত্র তাদের ভুল সিদ্ধান্ত।
শেষ কথা: সরকার নির্ধারিত দামের মধ্যেই কোরবানির পশুর চামড়া কেনাবেচা চলছে, তবে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের বাজার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে চামড়া কিনতে সতর্ক থাকা উচিত। তাছাড়া, চামড়া ব্যবসায় লাভ করতে হলে সঠিক হিসাব ও পরিকল্পনা করে কেনাবেচা করতে হবে, যাতে কোনো ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন না হতে হয়।
1 month, 2 weeks
2 months, 2 weeks
3 months, 2 weeks
3 months, 2 weeks
3 months, 2 weeks