জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব (কর) মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে। তাদের ধারণা, ফয়সাল আয়করদাতাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে, বদলি বাণিজ্য এবং অন্যান্য অনৈতিক উপায়ে হাজার কোটি টাকা অর্জন করেছেন। এই অর্থ লুকানোর জন্য তিনি আত্মীয়-স্বজনের নামে ৭০০ টিরও বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন।

তদন্তের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ফয়সাল ও তার স্বজনের নামে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। দুদক ফয়সাল ও তার স্ত্রী-স্বজনের নামে থাকা একাধিক ফ্ল্যাট-প্লট এবং ৮৭ টি ব্যাংক হিসাব ও সঞ্চয়পত্র মিলে শতকোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে।

ফয়সালের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলির মধ্যে রয়েছে:

• ঘুষগ্রহণ: আয়করদাতাদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া
• ক্ষমতার অপব্যবহার: নিজের সুবিধার্থে পদাধিকার ব্যবহার
• বদলি বাণিজ্য: অবৈধভাবে জমি ও সম্পত্তি কেনা-বেচা
• অন্যান্য অনৈতিক কার্যকলাপ: দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ অর্জন

দুদকের ধারণা, ফয়সালের আরও অনেক সম্পদের সন্ধান পাওয়া যাবে। তারা বিদেশে পাচার করা সম্পদের বিষয়েও তদন্ত করছে। এই ঘটনাটি দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে, একজন সরকারি কর্মকর্তা এত বিপুল পরিমাণ সম্পদ কীভাবে অর্জন করতে পারেন? এই ঘটনা সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বকে আরও তুলে ধরে।

• এনবিআরের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
• ৭০০ টিরও বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অর্থ লুকানো
• শতকোটি টাকার সম্পদ জব্দ
• বিদেশে পাচার করা সম্পদের তদন্ত
• দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন

এই ঘটনা সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করে।