প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: June 18, 2024, 1:43 p.m.ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ ল্যাম্পেদুসা ও কালাব্রিয়ার উপকূলে নৌকাডুবির দুটি পৃথক ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ৬৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৫১ জনকে। সোমবার (১৮ জুন) এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া দুটি নৌকার যাত্রী সকলেই অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। কয়েক দিন আগে লিবিয়া ও তুরস্কের উপকূল থেকে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন তারা।
জার্মানির একটি দাতব্য সংস্থার জাহাজ রেসকিউশিপ ও ইতালির কোস্টগার্ড বাহিনী ডুবে যাওয়া নৌকা দুটি থেকে মোট ৫১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, নিহত ও নিখোঁজদের মধ্যে বাংলাদেশ, সিরিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও মিসরের নাগরিকরা রয়েছেন। নিখোঁজ ৬৬ জনের মধ্যে অন্তত ২৬ জন শিশু। এই শিশুদের মধ্যে কয়েক জনের বয়স এক বছরও পূর্ণ হয়নি।
২০১৪ সাল থেকে লিবিয়া ও তুরস্কের উপকূল থেকে নৌকায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইতালির উদ্দেশে যাত্রার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা মহামারি ও তার পরবর্তী বছরগুলোতে এটি আরও ব্যাপক আকার নিয়েছে। ইউরোপের প্রবেশপথগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ এই সাগর পথ নৌকায় পাড়ি দিতে গিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ডুবে মরা বা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাও ঘটে নিয়মিত। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত এ পথে ইতালি পৌঁছাতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন ২৩ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বিপজ্জনক যাত্রা রোধে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যেই বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে এই ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ছে, কারণ যাত্রীরা অধিকাংশ সময় অপ্রতুল ও অবৈধ নৌকায় যাত্রা করে থাকেন। ইতালির সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণ হারানোদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং নিখোঁজদের দ্রুত উদ্ধারের জন্য যৌথভাবে কাজ করছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণ হারানোদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং নিখোঁজদের দ্রুত উদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week