আদর্শ বই প্রেমিক ও দই বিক্রেতা পেলেন একুশে পদক পুরষ্কার

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: Feb. 17, 2024, 3:44 p.m.
আদর্শ বই প্রেমিক ও দই বিক্রেতা পেলেন একুশে পদক পুরষ্কার

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মুশরীভুজা বটতলা গ্রামের জিয়াউল হক। পেশায় দই ব্যবসায়ী। তবে তার শিক্ষানুরাগের খবর এলাকা ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে জাতীয় স্তরে। দই বিক্রির টাকায় বই কেনা তার নেশা। বাড়িতে গড়েছেন পাঠাগার। এলাকার গরিব শিশু ও শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইসহ নানা ধরনের বই কিনে দিয়ে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার কাজে জীবনভর কাজ করে যাচ্ছেন। ৯১ বছর বয়সে এবার তিনি সম্মানিত হচ্ছেন দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে। সমাজসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে তাকে ২০২৪ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনীত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।এ সময় জিয়াউল হক  বলেন, ‘দই ও ক্ষীর নিয়ে আমি সকাল সাতটায় বের হয়েছি। কেননা চাল কেনা ও বাজার করার টাকা ছিল না। আমি কল্পনা করতে পারিনি, যে আমি এত বড় একটা পদক পাওয়ার জন্য মনোনীত হব। জীবনের শেষ দিকে এসে কাজের স্বীকৃতি পেলাম। এখন মরেও শান্তি পাব। কী যে আনন্দ পেয়েছি, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’১৯৬৯ সালে নিজ বাড়িতেই গড়ে তোলের জিয়াউল হক সাধারণ পাঠাগার। শুধু পাঠাগারই নয়, সারা জীবনই নানা প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন জিয়াউল হক। এই সাদামনের মানুষ সামাজিক কাজে এ পর্যন্ত তিন কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সাদাসিধে এ মানুষটি পেশায় দই বিক্রেতা। জিয়াউল হক এক সময় সাইকেলে ঝুড়ি মাথায় নিয়ে পথে ঘাটে ঘুরে ঘুরে দই বিক্রি করতেন। ৯১ বছর বয়সেও তার রুটিরুজির অবলম্বন দই বিক্রি। জিয়াউল হকের দইয়ের খ্যাতি জেলা জুড়েই। খাঁটি গরুর দুধ দিয়ে দই বানানো, সেই সততার কারণেই ভোক্তাদের মনে জায়গা করে নিয়েছে জিয়াউল হকের দই। অনেকেই তার দই কেনার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে তার বাড়িতেও ছুটে যান।


আরও পড়ুন