প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: May 19, 2024, 11:50 p.m.অনুমোদন ছাড়াই বাজারে পাঁচ ধরণের ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় বিক্রির অভিযোগে কোম্পানি মালিকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। প্রায় তিন বছর ধরে বাজারে চলা এই পণ্যগুলোর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, কোনো পণ্য উৎপাদনের আগে লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু একমি ও এসএমসি কোম্পানির এসএমসি প্লাস, প্রাণের অ্যাক্টিভ, ব্রুভানা বেভারেজ লিমিটেডের ব্রুভানা, দেশবন্ধু ও আগামী কোম্পানির রিচার্জ এবং আকিজের টারবো লাইসেন্স ছাড়াই বাজারে তাদের ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় বিক্রি করে আসছিল। এমনকি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচারণাও চালাচ্ছিল।
অনুমোদন ছাড়া বাজারে আসা এই পণ্যগুলোতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে সাধারণ জনগণ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা করেন।
মামলার শুনানি শেষে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত পাঁচ শিল্প গোষ্ঠীর মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। খাদ্য পরিদর্শক হাসান বলেন, "এই পানীয়গুলোর লেবেলে স্পষ্ট নয় এগুলো পানীয় নাকি ওষুধ। বিএসটিআই বা ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই বাজারে আসা এই পণ্যগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।"
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি করেছে, তারা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেও সাড়া পায়নি। প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা বলেন, "ইলেক্ট্রোলাইট পণ্যের জন্য নির্দিষ্ট কোন মানদণ্ড না থাকায় আমরা অনুমোদন পাইনি।"
বিএসটিআই'র উপপরিচালক মো. রিয়াজুল হক বলেন, "ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বাধ্যতামূলক পণ্যের আওতায় পড়ে না, তাই আমরা অনুমোদন দিতে পারি না।"
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. খান আবুল কালাম বলেন, "বাংলাদেশে উৎপাদিত ও বাজারজাতকৃত ইলেক্ট্রোলাইট সলিউশনগুলোতে ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা কতটা তা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেওয়া উচিত।" কেন এবং কিভাবে অনুমোদন ছাড়া বাজারে আসলো এই পণ্যগুলো সেটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week