মিয়ানমারকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে সামরিক জান্তা-জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: July 12, 2024, 4:26 p.m.
মিয়ানমারকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে সামরিক জান্তা-জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশটিকে ধ্বংসের চেষ্টা করছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধে জর্জরিত জান্তা এখন বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতেও হামলা চালাচ্ছে, যার ফলে প্রাণহানির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ জান্তাকে সতর্ক করেছে যে তাদের এই আচরণ মিয়ানমারের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।

টম অ্যান্ড্রুজ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্যে বলেন যে জান্তা ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে, তবুও তারা ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বা বিদ্রোহীদের সাথে আপস করতে রাজি নয়। এই অচলাবস্থার ফলে দেশজুড়ে সংঘাত আরও তীব্র হচ্ছে এবং বেসামরিক জনগণের ভোগান্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্রোহীদের হামলার জবাবে জান্তা বাহিনী নির্বিচারে গোলাবর্ষণ করছে, যার ফলে স্কুল, হাসপাতাল, এমনকি ধর্মীয় স্থাপনাও ধ্বংস হচ্ছে। টম অ্যান্ড্রুজ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে যদি এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে, তাহলে মিয়ানমার ভেঙে বিভিন্ন টুকরোতে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে। তিনি জান্তাকে সাধারণ জনগণের সমর্থন আদায়ের জন্য তাদের আচরণ পরিবর্তন করার এবং শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী একটি অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়। জান্তা বাহিনী বিদ্রোহীদের দমন করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেয়, যার ফলে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারে সংঘটিত হিংসাচারের নিন্দা জানিয়েছে এবং জান্তাকে শান্তিপূর্ণ সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে জান্তা বাহিনীর হামলায় শত শত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া, হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।

দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে পড়েছে, এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান দ্রুত অবনতি ঘটছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তুলেছে।


আরও পড়ুন