প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: Aug. 14, 2024, 10:45 p.m.বিজিএমইএ প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। তারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতের সময় প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় অর্থনীতিতে পোশাকশিল্পের অবদান এবং এ শিল্পের উন্নয়নে বিজিএমইএ’র অসামান্য ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বিজিএমইএ’র সাহসিকতার প্রশংসা করে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ২০৩০ সালের মধ্যে পোশাকশিল্প ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তা অর্জিত হবে।
এছাড়াও, তিনি শিল্পের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজিএমইএ’র দক্ষতার প্রতি তার আস্থা প্রকাশ করেন এবং বলেন, বাংলাদেশ পোশাকশিল্পের মাধ্যমে বৈশ্বিক মানচিত্রে নিজস্ব স্থান করে নিতে সক্ষম হবে।
বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম প্রধান উপদেষ্টাকে পোশাকশিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি এবং এ শিল্পের সাফল্য ও সংকট সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অবহিত করেন। তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী ক্রেতারা এখন বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের প্রতি আগ্রহী এবং আস্থা রাখছেন, যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন ১ম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আরশাদ জামাল দীপু, সহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন, সহ-সভাপতি মিরান আলী, সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, সহ-সভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী এবং অন্যান্য পরিচালকরা।
প্রতিনিধিদল ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত অবদান এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জনের কথা উল্লেখ করে জানান, তার নেতৃত্বে পোশাকশিল্পে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়েছে, বিশেষত বৈশ্বিক ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে আস্থা ও ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। তারা আরও জানান, পোশাকশিল্পের উন্নয়নে ড. ইউনূসের ভূমিকা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছে, যা বাংলাদেশের সুনামকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে তার এক্স (সাবেক টুইটার) থেকে বাংলাদেশ থেকে বেশি পোশাক কেনার আহ্বান জানাতে। তারা জানান, এ ধরনের প্রচারণা আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের অবস্থান আরও সুসংহত করতে সাহায্য করবে।
তারা ব্যবসার প্রতিবন্ধকতা দূর করতে এবং প্রক্রিয়াগুলো সহজতর করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দেন। প্রতিনিধিদল আরও জানায়, এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা সম্ভব হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিনিধিদলের প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন এবং আশ্বস্ত করেন যে, বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সংস্কার করবে। তিনি আরও জানান, তার পরিচিতি এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ইমেজ, বিশেষ করে পোশাকশিল্পের ব্র্যান্ডিং উন্নত করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করবেন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের অর্থনৈতিক অর্জনগুলো প্রচার করবেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বর্তমান সরকার এবং পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা একযোগে কাজ করে জাতীয় অর্থনীতিতে এই শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে, যা নতুন বাংলাদেশের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি এও উল্লেখ করেন, পোশাকশিল্পের উন্নয়নে সরকার এবং বিজিএমইএ’র যৌথ উদ্যোগ দেশের অর্থনীতিকে আরও মজবুত করতে সহায়ক হবে।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week