রাফায় ইসরাইলি ট্যাংক-আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে হামলা চলছে

ইসরাইল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) নির্দেশ উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফা শহরে তাদের সামরিক অভিযান জোরদার করেছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) প্রথমবারের মতো ইসরাইলি ট্যাংক রাফার কেন্দ্রে ঢুকেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

গত রোববার (২৬ মে) ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার রাফায় 'নিরাপদ অঞ্চল' হিসেবে ঘোষিত একটি শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছিল। তাঁবু দিয়ে গড়ে তোলা এই শিবিরে দখলদার সেনাদের হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় আড়াইশজন আহত হয়েছিল।

এই ঘটনার জের ধরে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দার ঝড় ওঠে। জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন দেশ আইসিজের আদেশ মেনে রাফায় অভিযান বন্ধের দাবি জানায়। তথাপি ইসরাইল আইসিজের নির্দেশ উপেক্ষা করে রাফার শরণার্থী শিবিরে আবারও হামলা চালায় এবং এতে আরও ২১ জন নিহত হয়।

এছাড়াও, নিশ্চিত হয়েছে যে ইসরাইলি ট্যাংক রাফায় প্রবেশ করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে মধ্য রাফার আল-আওদা মসজিদের কাছে ইসরাইলি ট্যাংক দেখা গেছে।

 ট্যাংকগুলো পশ্চিম রাফার আরও ভেতরে ঢুকে পড়েছে এবং কিছু ট্যাংক পশ্চিম রাফার জুরুব এলাকায় পাহাড়ি উঁচু জায়গায় অবস্থান নিয়েছে। সেখানে হামাসসহ ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর সাথে ইসরাইলি বাহিনীর লড়াই চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানিয়েছেন যে রাফায় ইসরাইলি সেনারা দূরনিয়ন্ত্রিত যানবাহন ব্যবহার করছে বলে মনে হচ্ছে। কিছু যানবাহনের ভেতরে বা আশপাশে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সেনার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।এই বিষয়ে ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।

উল্লেখ্য যে, আইসিজে গত ১৭ মে রাফায় ইসরাইলি সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। আদালত বলেছিল যে ইসরাইলের হামলা সম্ভবত যুদ্ধাপরাধের গঠন করেছে এবং তা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।

রাফায় ইসরাইলি সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত কতজন নিহত হয়েছে তার সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে যে নিহতের সংখ্যা শতাধিক।