প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: June 6, 2024, 10:21 p.m.গভীর রাতের আঁধারে মিয়ানমার থেকে শত শত গরু-মহিষ অবাধে বাংলাদেশে ঢুকছে। দেশটির চলমান সংঘাতের মধ্যেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বেপরোয়া চোরাকারবারিরা এই অপরাধে জড়িত। বাধা দিলে তারা এমনকি বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিও করছে। স্থানীয়দের দাবি, নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের কালাচাইন্দা, বাম হাতিরছরা, ফুলতলী, ভালুখাইয়া পয়েন্টগুলোতে সক্রিয় চোরাকারবারিরা।
তাদের হাতে রয়েছে অস্ত্রও। মূলহোতা প্রভাবশালী কয়েকজন হলেও, তাদের নেতৃত্বে রয়েছে দুই শতাধিক সদস্য। যারা প্রতিদিনই শত শত মিয়ানমারের গরু-মহিষ ও ছাগল সীমান্ত দিয়ে অবাধে নিয়ে আসছে এবং মজুত করছে কক্সবাজারের ঈদগাঁও, ঈদগড় ও চকরিয়াতে।
স্থানীয়রা আরও জানায়, চোরাকারবারিদের সিন্ডিকেট অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাদের কয়েকশ লোকও রয়েছে, যারা অস্ত্রধারী। পাচারের সময় বিজিবি বাধা দিতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এভাবে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, যা সীমান্তের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি।
মিয়ানমারের গরু আসায় বিপাকে পড়েছেন দেশীয় খামারিরা। তাদের দাবি, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব পশু হাট-বাজারে ওঠানো হচ্ছে, যার ফলে দেশীয় খামারিদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কক্সবাজারের রামুর খামারি আব্দু রশীদ বলেন, "এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আমরা ব্যাংকের ঋণ শোধ করতে পারছি না। সবকিছুর দাম বেশি। আমরা গরুও আনতে পারছি না। আর এভাবে চোরাই গরু আসায় সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে।"
তবে চোরাকারবারিদের লাগাম টানতে কাজ করছে চোরাচালানবিরোধী টাস্কফোর্স- এমনটি জানান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন। তিনি বলেন, "বিজিবি চেষ্টা করছে চোরাকারবারিদের রুখতে। এর পাশাপাশি ইউএনও ও জনপ্রতিনিধিরা সবাই আমাদের সহায়তা করছেন। আমরা সবাই মিলে চোরাচালানবিরোধী টাস্কফোর্সের মাধ্যমে এটা বন্ধ করতে চেষ্টা করছি।"
গত এক সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে আসা ৬২টি মহিষ জব্দ করেছে বিজিবি, যা নিলামে বিক্রি করা হবে। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে এবং দেশীয় খামারিরা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week