ঈদ-উল-আযহায় ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে শান্তির উদ্যোগ-জাতিসংঘের আহ্বান

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: June 16, 2024, 1:25 p.m.
ঈদ-উল-আযহায় ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে শান্তির উদ্যোগ-জাতিসংঘের আহ্বান

ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে যুদ্ধবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৫ জুন) লেবাননের দায়িত্বে থাকা জাতিসংঘের কর্মকর্তা জেনিন হেনিস-প্লাসচার্ট এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর প্রধান আরল্ডো লাজারো একটি বিবৃতি জারি করেছেন বলে আল জাজিরা জানিয়েছে। রবিবার (১৬ জুন) লেবানন সহ বিশ্বজুড়ে ঈদ-উল-আযহা উদযাপিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে লেবাননে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা উভয় পক্ষের সৈন্যদের ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে অস্ত্র রাখার আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, "হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের ন্যূনতম ভুল সিদ্ধান্তের কারণে একটি বড় যুদ্ধ শুরু হতে পারে।" তাই উভয় পক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে। আট মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল গাজার ওপর নৃশংস যুদ্ধ চালিয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত গাজায় ৩৭ হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। প্রতিশোধ নিতে, লেবানন গাজার সাথে ইসরায়েলের সীমান্তে আক্রমণ শুরু করে।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী UNIFIL (United Nations Interim Force in Lebanon) সীমান্ত এলাকায় টহল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা কমানো যায়। UNIFIL প্রধান আরল্ডো লাজারো উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসার আহ্বান জানিয়েছেন এবং ঈদ-উল-আযহার পবিত্রতা রক্ষায় অস্ত্র বিরতি মেনে চলার অনুরোধ করেছেন।

এছাড়াও, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী উভয় দেশের নাগরিকদের প্রতি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, সীমান্তের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কেবলমাত্র সামরিকভাবে সমাধান করা যাবে না, বরং রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিকভাবে সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে চলমান সংঘাতের কারণে এই অঞ্চলটি খুবই সংবেদনশীল এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি উদ্যোগকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত। ঈদ-উল-আযহার এই শান্তির আহ্বান হয়তো একটি সাময়িক অবকাশ এনে দিতে পারে, তবে দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য আরও প্রচেষ্টা এবং আন্তরিকতা প্রয়োজন।


আরও পড়ুন