প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: June 5, 2024, 8:12 p.m.স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য পরিষেবাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলিতে বিনামূল্যে প্রায় ২৭ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করছে। আজ বুধবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "এমএসআর খাতে বরাদ্দ ৭০ শতাংশ অর্থ সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহসহ ওষুধের জন্য ব্যয় করা হয়। এই বরাদ্দের আওতায় কম আয়ের রোগীরা ওষুধের ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলির জন্য বরাদ্দ অর্থের ৭০ শতাংশ মূল্যের সমস্ত ওষুধ পাচ্ছেন।"
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন বিভিন্ন কোম্পানির মোট ৬৩টি ওষুধের দাম কমিয়েছে, যা রোগীদের জন্য উপকারী হবে।
সামন্ত লাল বলেন, "হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বিভাগে ভর্তি রোগীদের মানসম্পন্ন খাদ্য সরবরাহের জন্য দেশের সকল মেডিকেল কলেজ পর্যায়ক্রমে তহবিল বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে।"
ওষুধের দাম নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সরকার সর্বদাই জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমার মধ্যে রাখার চেষ্টা করে আসছে। বাংলাদেশে ১৯৯২ সালে মূল্য নীতি প্রণয়ন করা হয় এবং ১৯৯৪ সালে সরকার প্রয়োজনীয় ওষুধ তালিকাভুক্ত করে। সরকার এসেনশিয়াল প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে তালিকাভুক্ত ১১৭টি জেনেরিক ওষুধের দাম নির্ধারণ করে। এছাড়াও, তালিকার বাইরে থাকা অন্যান্য জেনেরিক ওষুধের দাম সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা নির্ধারণ করে এবং মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রদানের জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছ থেকে মূল্য শংসাপত্র পাওয়া যায়।"
এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে সরকার দেশের প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা আরও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করে তুলতে বদ্ধপরিকর।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week