প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: Aug. 1, 2024, 1:20 a.m.নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের সাহায্যে বাংলাদেশে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাশাপাশি সার্কভুক্ত দেশগুলোর সাহায্যও চেয়েছেন। সম্প্রতি ভারতের একটি প্রভাবশালী গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন যে, বাংলাদেশে ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশ’ অনুপস্থিত এবং এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ভারতসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোকে বাংলাদেশে মনোনিবেশ করতে হবে।
ড. ইউনূসের এই দাবির প্রেক্ষিতে ভারতীয় বিশ্লেষকরা গভীর উদ্বেগ ও তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছেন। ভারতের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি গৌতম লাহিড়ী মন্তব্য করেছেন, “কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানে বিদেশি রাষ্ট্রের ভূমিকা খোঁজার দাবি অযৌক্তিক এবং অসাংবিধানিক। যে কোনো সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব দেশটির নাগরিকদের এবং সুশীল সমাজের। বিদেশি রাষ্ট্রের সাহায্য চাওয়া মানে দেশের সম্মানকে অসম্মান করা।”
আনন্দবাজার পত্রিকার সাবেক বর্ষীয়ান সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, “ড. ইউনূস এবং তারেক রহমান বিদেশে থেকে একের পর এক বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তাদের বক্তব্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়কে বিদেশে নেতিবাচকভাবে প্রচার করছে।”
দাশগুপ্ত আরো বলেন, “অধ্যাপক ড. ইউনূস যখন নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন, তখন তাঁর জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু এখন, বিদেশে বসে তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করছেন যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হতে পারে। তার বয়স হয়ে গেছে, এখন তাকে দেশের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।”
ড. ইউনূসের মন্তব্য এমন সময় এসেছে যখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকট বিরাজ করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের মন্তব্য দেশটির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির প্রতি সাম্প্রতিক উদ্বেগকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে। একই সঙ্গে, বিশ্লেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন যে, এই ধরনের বিবৃতি আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের অবস্থানকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে পারে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়বস্তুতে বিদেশি হস্তক্ষেপের পথ খুলতে পারে।
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week