প্রতিবেদক • ঢাকা
প্রকাশ: Aug. 2, 2024, 10:41 a.m.জুমার দিন হলো সপ্তাহের সেরা দিন এবং এ দিনটি বিশেষভাবে মর্যাদাপূর্ণ। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে এ দিনকে অধিকতর বরকতময় এবং পূণ্যময় করে তোলার জন্য ১৭টি করণীয় উল্লেখ করেছেন। সেগুলি হলো:
১. গোসল করা - (বুখারি, হাদিস: ৮৭৭)
২. মিসওয়াক করা - (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১০৯৮)
৩. উত্তম পোশাক পরিধান করা - (আবু দাউদ, হাদিস: ৩৪৩)
৪. সুগন্ধি ব্যবহার করা - (বুখারি, হাদিস: ৮৮০)
৫. মসজিদে প্রবেশের পর অন্য মুসল্লিদের ফাঁক করে বা গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যাওয়া - (বুখারি, হাদিস: ৯১০, ৮৮৩)
৬. কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা - (বুখারি, হাদিস: ৯১১)
৭. সালাতের জন্য কোনো একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা, যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যাবে সেখানেই সালাত আদায় করা - (আবু দাউদ, হাদিস: ৮৬২)
৮. নির্ধারিত নামাজ আদায় করা, এমনকি ফরজ সালাতের আগে ও পরে দুই-চার রাকাত করে নফল সালাত আদায় করা - (বুখারি, হাদিস: ৯৩০)
৯. গায়ে তেল (লোশন) ব্যবহার করা - (বুখারি: ৮৮৩)
১০. পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন করা - (মুসলিম, হাদিস: ১৪০০)
১১. মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেঁয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধূমপান না করা - (বুখারি, হাদিস: ৮৫৩)
১২. ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে বসার জায়গা পরিবর্তন করে বসা - (আবু দাউদ, হাদিস: ১১১৯)
১৩. ইমামের খুতবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা - (আবু দাউদ, হাদিস: ১১১০)
১৪. খুতবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা - (আবু দাউদ, হাদিস: ১১০৮)
১৫. এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোনো কিছু না পড়া বা তিলাওয়াত না করা, যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে - (আবু দাউদ, হাদিস: ১৩৩২)
১৬. ইমামের খুতবার জন্য বের হওয়া থেকে সালাত শেষ করা পর্যন্ত নীরবতা অবলম্বন করা - (আবু দাউদ, হাদিস: ১১১২)
১৭. বেশি বেশি প্রার্থনা (দোয়া) করা - (বুখারি, হাদিস: ৯৩৫)
এই করণীয়গুলো যথাযথভাবে পালন করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির জন্য এই জুমা ও তার পূর্ববর্তী জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহের কাফফারা হয়ে যাবে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৩৪৩)
1 month, 2 weeks
2 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week
3 months, 1 week