কলকাতার সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার মরদেহের টুকরো

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: May 28, 2024, 11:16 p.m.
কলকাতার সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার মরদেহের টুকরো

কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেন্স এলাকার একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি মরদেহের খণ্ডিত অংশ। ধারণা করা হচ্ছে এটি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের। তবে, ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি যে, উদ্ধারকৃত দেহাংশ আনোয়ারুল আজিমের কিনা।

স্থানীয় সাংবাদিক ও গণমাধ্যম সূত্রে খবর পেয়ে ডিবি জানতে পারে সঞ্জীবা গার্ডেন্সের সেপটিক ট্যাংক থেকে একটি মরদেহের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। ডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, মরদেহ বা দেহাংশ উদ্ধার হলেও সেটি যে সংসদ সদস্য আনারের তা আগাম বলার সুযোগ নেই। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ডিবি সূত্র জানায়, ভারতের সিআইডি সেপটিক ট্যাংকে তল্লাশি চালিয়ে আশানুরূপ ফলাফল পেয়েছে। কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া জিহাদ হাওলাদার জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে, প্রায় ৪ কেজি ওজনের দেহাংশ কমোডে ফেলা হয়েছে।

এমপি আনারের মেয়ে ডরিন হারুন অর রশীদের সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং দ্রুত ডিএনএ পরীক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। ডিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা বুধবার সকালে কলকাতা সিআইডি অফিসে যাবেন। মরদেহের খণ্ডিতাংশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করার পর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আনোয়ারুল আজিমের পরিবারের সদস্যদের কলকাতায় ডাকা হবে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আনোয়ারুল আজিমের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠেছে এবং বিভিন্ন মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। কিন্তু এই ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে এবং দ্রুতই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। পাশাপাশি, আনোয়ারুল আজিমের নিখোঁজ হওয়ার পেছনে কোনো রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত বিরোধের যোগসূত্র আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংসদ সদস্যের নিখোঁজের বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য বা প্রমাণাদি পাওয়া গেলে তা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে।


আরও পড়ুন