বর্জ্য অপসারণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৬ ও ২৪ ঘণ্টার চ্যালেঞ্জ

প্রতিবেদক • ঢাকা

প্রকাশ: June 16, 2024, 1:12 p.m.
বর্জ্য অপসারণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৬ ও ২৪ ঘণ্টার চ্যালেঞ্জ

প্রতি বছর কোরবানির পর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি ও ডিএনসিসি) বর্জ্য অপসারণে হিম্মতের পরিচয় দেয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। দুই নগর পিতা আগাম ঘোষণা দিয়েছেন, কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম আরও এক ধাপ এগিয়ে ৬ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন।

তবে নগরবাসী দুই সিটি করপোরেশনের এই আল্টিমেটামকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। অনেকেই মনে করছেন, অতীতের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, বাস্তবায়নে ব্যাঘাত আসতে পারে। বিশেষ করে, বৃষ্টিপাত বা যাতায়াত সমস্যার কারণে বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।

বর্জ্য অপসারণের জন্য ডিএনসিসি ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী, ৯ লাখ ৪০ হাজার পলিব্যাগ ও ১ লাখ বায়োডিগ্রেডেবল পলিব্যাগ বিতরণ করেছে। এ ছাড়াও ২৬৮০ বস্তা ব্লিচিং পাউডার, স্যাভলনের ৯০০ ক্যান, এবং অন্যান্য পরিচ্ছন্নতা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণের জন্য ডিএনসিসি ৮৫টি ডাম্প ট্রাক, ২১টি পে-লোডার, ১৮টি পানির গাড়ি, ২টি টায়ার ডোজার, ৫টি স্কিড লোডার, ১৪০টি পিক-আপ, ৪৫টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ১২১টি কম্পেক্টর, ৪৩টি খোলা ট্রাক সহ বিভিন্ন যানবাহন ব্যবহার করবে।

ডিএসসিসি তাদের ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং বিভিন্ন পরিচ্ছন্নতা সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা ১ লাখ ৪০ হাজার বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ বিতরণ করেছে এবং ৪০ টন ব্লিচিং পাউডার ও ২২২ গ্যালন স্যাভলন মজুত করেছে। ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডে ১৫০টি মিনি ট্রাক, ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ৪৬টি কম্পেক্টর, ৪৭টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ২৪টি পে-লোডার, ১২টি টায়ার ডোজার, স্কিড লোডার ৮টি, ব্যাক হো লোডার ৪টি, পানির গাড়ি ৯টি, বুলডোজার ২টি, স্কেভেটর ৮টি, গাড়িবাহী এয়ার কম্প্রেসার ৩টি, ফর্ক লিফট ২টি, হাইড্রলিক ক্রেন ২টি, লং ট্রলি ২টি, প্রাইম মুভার ২টি, রেকার ১টি এবং জেড অ্যান্ড সাকার ১টি ব্যবহার করে বর্জ্য অপসারণ করা হবে।

বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করতে সিটি করপোরেশনগুলো নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা নির্ধারিত স্থানে এবং পলিব্যাগে করে বর্জ্য ফেলেন। এতে করে বর্জ্য সংগ্রহ এবং অপসারণ আরও দ্রুত এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি, বর্জ্য অপসারণ পরবর্তী জীবাণুমুক্তকরণের জন্য ব্লিচিং পাউডার ও স্যাভলন ব্যবহার করা হবে, যা জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এ বছর কোরবানির বর্জ্য অপসারণের চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারলে এটি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের জন্য একটি বড় অর্জন হবে এবং নগরবাসীর আস্থা পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।


আরও পড়ুন